চট্টগ্রামের নালায় পড়ল শিশু, শুষ্ক মৌসুমের কারণে প্রাণ বাঁচল

0

চট্টগ্রামের চান্দগাঁও থানার আরাকান রোডে ফুটপাতে হাঁটতে গিয়ে খোলা নালায় পড়ে যায় শিশুটি। তবে শুষ্ক মৌসুম বলে জীবন  বেচে গেছে।

বন্দরনগরীর পুরাতন চান্দগাঁওয়ের পাঠানিয়া গোদা এলাকায় দুর্ঘটনার ভিডিও উঠে এসেছে সোশ্যাল মিডিয়ায়।

ভিডিওটিতে দেখা যাচ্ছে ফুটপাতে হাঁটছেন দুই নারী। তাদের সঙ্গে একটি শিশুও হাঁটছিল। হাঁটতে হাঁটতে সাফা মারওয়া ইলেকট্রনিক্সের সামনে ফুটপাতে গর্তে পড়ে যায় শিশুটি। এ সময় দুই নারী কোনোমতে তাকে টেনে তোলেন।

 তাদের চিৎকারে এলাকার লোকজনও ছুটে আসেন। তুলে নেওয়ার পর নারীরা শিশুটিকে নিয়ে চলে যান। তাদের পরিচয় জানা সম্ভব হয়নি।

স্থানীয় এক ব্যবসায়ী নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, খালটি সংস্কার করা হয়েছে। তবে স্ল্যাবটি ভালোভাবে বসানো হয়নি। এ কারণে ফুটপাতে হাঁটতে গিয়ে পড়ে যায় মানুষ। এর আগেও দুই থেকে তিনজন পড়ে গেছে। সাময়িকভাবে অবরোধ করা হলেও ফুটপাতে মোটরসাইকেল চলাচলের কারণে তা বন্ধ করা যাচ্ছে না।

চট্টগ্রাম নগরীর খোলা ড্রেন ও খালগুলো পরিণত হয়েছে মরণফাঁদে। এখানে একের পর এক মৃত্যুর ঘটনা ঘটছে।

গত বছরের জুন থেকে ডিসেম্বর পর্যন্ত খোলা খালে শিশুসহ অন্তত পাঁচজনের মৃত্যু হয়েছে। তাদের একজনের এখনো খোঁজ মেলেনি।

গত ৩০ জুন নগরীর মেয়র গলি এলাকায় একটি চশমা খালে পড়ে অটোরিকশা চালক ও এক যাত্রীর মৃত্যু হয়। গত ২৫ আগস্ট নগরীর মুরাদপুরে সবজি বিক্রেতা সালেহ আহমেদ চশমা খালে পড়ে যান। তাকে এখনো পাওয়া যায়নি।

গত ২৭ সেপ্টেম্বর আগ্রাবাদের মাজারগেট এলাকায় ফুটপাতে পিছলে পড়ে মারা যান শেহেরিন মাহমুদ সাদিয়া (১৯) নামে বিশ্ববিদ্যালয়ের এক ছাত্রী। গত বছরের ৬ ডিসেম্বর নগরীর চশমা খালে ডুবে যায়। কামাল উদ্দিন (১২)। তিন দিন পর শহরের মির্জা খাল থেকে তার লাশ উদ্ধার করা হয়।

একের পর এক মৃত্যুর ঘটনা ঘটলেও চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন ও সিডিএ এর কোনো দায় নিচ্ছে না। এসব মৃত্যুর জন্য দুই সংগঠন একে অপরকে দায়ী করে আসছে।

কিন্তু সংগঠন দুটির ভূমিকা নিয়ে চট্টগ্রামবাসীর মধ্যে তীব্র ক্ষোভ বিরাজ করছে। একটি সরকারি তদন্ত প্রতিবেদনে মৃত্যুর জন্য দুটি সংস্থার অবহেলাকে দায়ী করা হয়েছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *