বেসরকারি হাসপাতালে টিসিবির তেল, ডাল ও চিনি
দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতিতে ভুক্তভোগী নিম্ন আয়ের মানুষ সস্তায় তেল, চাল, ডাল ও চিনি পেতে টিসিবি ট্রাকের পেছনে ঘণ্টার পর ঘণ্টা লাইনে দাঁড়িয়েছেন। কিন্তু মঙ্গলবার ভরদুপুরের মগবাজারে ইনসাফ বারাকাহ হাসপাতালের প্রবেশপথে ট্রাক থেকে সয়াবিন তেল, ডাল, চিনি, পেঁয়াজ ও খেজুর নামানো হচ্ছে। হাসপাতালের বেসমেন্টে একটি ট্রলিতে করে নেওয়া হচ্ছে।
ক্রেতার লাইন ছাড়া ট্রাক থেকে পণ্য খালাসের ভিডিও ও ছবি ধারন করতেই বাধা দেওয়া হয়। ডিলারের এক ভাই এসে জিজ্ঞেস করলেন অনুমতি ছাড়া ছবি তোলা হচ্ছে কেন? পরিস্থিতি শান্ত হওয়ার পর নিজেকে ডিলার হিসেবে পরিচয় দেওয়া রাফিউজ্জামান রাফি দাবি করেন, হাসপাতালের করোনা ওয়ার্ডের ২৫০ জন নার্স ও স্টাফদের জন্য পণ্য আনা হয়েছিল। শ্রমিকরা লাইনে দাঁড়ালে করোনা ছড়াতে পারে।
এজন্য ৫০০ লিটার তেল ও আড়াইশ কেজি চিনি, ডাল, ছোলা ও খেজুর হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের কাছে হস্তান্তর করা হচ্ছে বলে দাবি করেন রফিউজ্জামান। কর্তৃপক্ষ তারপর কর্মীদের মধ্যে পণ্য বিতরণ করবে। কোনো অনিয়ম নেই। মোক্তার সরদার, কাউন্সিলর, ৩৫ নং ওয়ার্ড, উত্তর সিটি কর্পোরেশনের অনুমতি নিয়ে পণ্যটি বিতরণ করা হচ্ছে।
তবে ভিন্ন বক্তব্য ওয়ার্ড কাউন্সিলরের। তিনি বলেন, এগুলো ভুল। টিসিবির মুখপাত্র হুমায়ুন কবির বলেন, লাইন ছাড়া পণ্য বিক্রির কোনো নিয়ম নেই। কাউন্সিলরদের নির্ধারিত স্থানে টিসিবির ট্রাক থেকে পণ্য বিক্রি করা হয়। অন্যত্র কার্ডের মাধ্যমে পণ্য বিক্রি হলেও ঢাকা ও বরিশাল সিটি কর্পোরেশন এলাকায় লাইন দিয়ে ডেলিভারি করা হচ্ছে।
কাউন্সিলর মোক্তার বলেন, ট্রাকটি ৩৫ নম্বর ওয়ার্ডের মগবাজার ওয়্যারলেস গেটের সামনে আসার কথা ছিল। কিন্তু দুর্ঘটনাবশত ওই ট্রাকটি দক্ষিণ সিটির ৩৫ নম্বর ওয়ার্ডে চলে যায়। ওই ট্রাক সারাদিন আসেনি। মঙ্গলবার দুপুর ১২টার দিকে শাহানারা ট্রেডার্সের রফিউজ্জামান ফোন করে জানান, মালামাল ইনসাফ বারাকাহ হাসপাতালে পৌঁছে দেওয়া হবে। তিনি গিয়ে কয়েকজন নার্সের হাতে পণ্য তুলে দিয়ে বিক্রির উদ্বোধন করেন। ইনসাফ বারাকাহ হাসপাতালের উপ-ব্যবস্থাপনা পরিচালক আলতাফ হোসেন জানান, কম বেতনের কর্মীদের পণ্য সরবরাহের জন্য তিনি টিসিবির কাছে আবেদন করেছিলেন। কখন, কার কাছে আবেদন করেছেন? এ প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, এসব দেখে বলতে হবে।