জাতীয় গৃহায়ন কর্তৃপক্ষ।কর্মকর্তারা দুদকের কাছেই ঘুষ চাইলেন
জাতীয় গৃহায়ণ কর্তৃপক্ষের কার্যালয়ের কর্মচারীরা সাধারণ মানুষের কাছে নয়, দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) কর্মকর্তাদের কাছে ঘুষ চেয়েছেন। নানা অভিযোগ পাওয়ার পর গত সোমবার ছদ্মবেশে অভিযান চালায় দুদক কর্মকর্তারা।
এ সময় তাদের কাছে কাজের জন্য ঘুষ চাওয়া হয়। ঘুষখোর ও দালালদের দৌরাত্ম্যের কথা দুদকের কাছে প্রকাশ্যে স্বীকারও করেছেন জাতীয় গৃহায়ণ কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান।
দুদক সূত্র জানায়, সিবিএ নেতাদের বিরুদ্ধে প্লট প্রদান, ফ্ল্যাট সেলের অনুমতি, মিউটেশন ইনভয়েস পাস, ইজারা সংক্রান্ত নথিতে স্বাক্ষর এবং অন্যান্য গ্রাহকসেবা প্রদানে সিবিএ নেতাদের ছত্রছায়ায় জাতীয় গৃহায়ণ কর্তৃপক্ষের কার্যালয়ের টেবিল থেকে ঘুষ নেওয়ার অভিযোগ রয়েছে। .
এর ভিত্তিতে সোমবার দুদকের প্রধান কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক রনজিত কুমার কর্মকার ও আজমেরী খানমের সমন্বয়ে গঠিত একটি এনফোর্সমেন্ট টিম এ অভিযান চালায়। ঢাকার গৃহায়ণ কর্তৃপক্ষের কার্যালয়ের তৃতীয় তলায় ছদ্মবেশে তারা প্রথমে তথ্য সংগ্রহ করে সেবাগ্রহীতাদের সঙ্গে কথা বলেন।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, অভিযানকালে গৃহায়ণ কর্তৃপক্ষের কার্যালয়ে দালালদের প্রকাশ্য দৌরাত্ম্য দেখা গেছে। দুদক কর্মকর্তারা জাতীয় গৃহায়ণ কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যানের সঙ্গে দুর্নীতি ও দালালদের দৌরাত্ম্য নিয়ে আলোচনা করলে তিনি তার কার্যালয়ে দালালদের অত্যাচারের কথা স্বীকার করেন। এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য এনফোর্সমেন্ট টিমের সদস্যরা অনুরোধ জানান। টিমের সদস্যরা অভিযানের সময় পাওয়া তথ্য ও প্রমাণ যাচাই করে কমিশনে বিস্তারিত প্রতিবেদন জমা দেবেন।
এদিকে অতিরিক্ত হ্যান্ড স্যানিটাইজার, বিনোদন খরচ ও খাবারের দাম দেখিয়ে ভুয়া বিল-ভাউচারের মাধ্যমে সরকারি তহবিল আত্মসাতের অভিযোগে সোমবার কুড়িগ্রামের রাজারহাট উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা অফিসের এক কর্মকর্তাকে আটক করা হয়েছে।
দুদকের রংপুর সমন্বিত জেলা কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক নজরুল ইসলামের নেতৃত্বে একটি দল এ অভিযান পরিচালনা করে। অভিযোগের সত্যতা উদঘাটনের জন্য দলের সদস্যরা ঘটনাস্থলে বিলের ফটোকপিসহ বাজেট সংগ্রহ ও পর্যালোচনা করেন। দুর্নীতির তথ্য নিয়ে কমিশনে প্রতিবেদন জমা দেবে দলটি।