ফোনালাপ ফাঁস।চবির ফারসি বিভাগের শিক্ষক নিয়োগ বাতিল করা হয়েছে
‘নিয়োগ বাণিজ্য’ নিয়ে ফোনালাপ ফাঁস হওয়ায় ফারসি ভাষা ও সাহিত্যের শিক্ষকদের নিয়োগ বাতিল করেছে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় (চবি)। শনিবার বিশ্ববিদ্যালয়ের সর্বোচ্চ নীতিনির্ধারণী সংস্থা সিন্ডিকেটের ৫৩৭তম সভায় ফার্সি বিভাগের নিয়োগ বাতিল করা হয়। সিন্ডিকেট সভা শেষে সংবাদ সম্মেলনে এ সিদ্ধান্তের কথা জানান উপাচার্য শিরীন আখতার।
দুই মাস আগে খালেদ মিসবাহুল (উপ-নিয়ন্ত্রক) এবং হিসাব নিয়ন্ত্রণ বিভাগের কর্মচারী মোহাম্মদ হোসেনের মধ্যে তিনটি ফোনালাপ ফাঁস হয়। গত বুধবার বিষয়টি জানাজানি হলে খালেদ মিসবাহুলকে ব্যক্তিগত সহকারীর পদ থেকে সরিয়ে দেয় কর্তৃপক্ষ। এছাড়া কর্মচারী মোহাম্মদ হোসেনকে কারণ দর্শানোর নোটিশ দেওয়া হয়েছে। ফোনালাপে তারা পারস্য বিভাগ ও বিভিন্ন বিভাগে কর্মকর্তা-কর্মচারী নিয়োগ নিয়ে দুই নিয়োগপ্রার্থীর সঙ্গে কথা বলেন। এসব ফোনালাপে নিয়োগের ক্ষেত্রে অর্থ লেনদেনের বিষয়টি স্পষ্টভাবে উঠে এসেছে।
এ বিষয়ে প্রকাশিত সংবাদের পরিপ্রেক্ষিতে গতকাল চারুকলা ইনস্টিটিউটে এক সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়। উপাচার্য শিরীন আখতার বলেন, ‘অডিও ক্লিপের বিষয়টি জানার সঙ্গে সঙ্গে আমরা হাটহাজারী মডেল থানায় একটি জিডি করি। দুই মাস ধরে বিষয়টি তদন্তাধীন রয়েছে। জড়িত প্রত্যেকের শাস্তি হবে। আজ চার সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করে ফার্সি ভাষা ও সাহিত্য বিভাগে শিক্ষক নিয়োগ বাতিল করা হয়েছে।
সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন রেজিস্ট্রার (ভারপ্রাপ্ত) এস এম মনিরুল হাসান, উপাচার্য প্রফেসর বেনু কুমার দে, প্রক্টর ড. রবিউল হাসান ভূঁইয়া ও সহকারী প্রক্টররা।
হাটহাজারী মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ রফিকুল ইসলাম বলেন, নিয়োগের জন্য টাকা চাওয়ার ঘটনায় তাদের বিরুদ্ধে কোনো মামলা হয়নি। টেলিফোনে নিয়োগ সংক্রান্ত মানহানিকর ও মিথ্যা তথ্য দেওয়ার অভিযোগে আহমেদ হোসেন নামের এক কর্মচারীর নামে জিডি করা হয়েছে।