পুতিনের বেপরোয়া পদক্ষেপ ইউরোপের জন্য হুমকি: ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী

0

Description of image

২৪ ফেব্রুয়ারি ভ্লাদিমির পুতিনের আদেশের পর থেকে রাশিয়া ইউক্রেনে সামরিক অভিযান শুরু করে। এই অভিযানের অংশ হিসাবে, রাশিয়ান সৈন্যরা স্থল, আকাশ এবং সমুদ্রপথে ইউক্রেনে আক্রমণ শুরু করেছে। এরপর থেকে দুই দেশের মধ্যে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষ চলছে। ইতিমধ্যে রাশিয়ান বাহিনী ইউক্রেনের বেশ কয়েকটি শহর এবং পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রের নিয়ন্ত্রণ নিয়েছে।

এদিকে ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন মনে করেন, ইউক্রেনে আগ্রাসন চালাতে মরিয়া হয়ে উঠেছেন রুশ প্রেসিডেন্ট। তিনি সতর্ক করেছিলেন যে তার বেপরোয়া পদক্ষেপ সমগ্র ইউরোপের নিরাপত্তার জন্য সরাসরি হুমকি।

শুক্রবার এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

জনসন সম্প্রতি ইউক্রেনের প্রেসিডেন্টভলোদিমির জেলেনস্কির সাথে ফোনে কথা বলেছেন।সেখানে এই মন্তব্য করেন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী।

শুক্রবার ভোরে ইউক্রেনের জাপোরিঝিয়া পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রে হামলা চালায় রুশ বাহিনী। এটি ইউক্রেন এবং সমগ্র ইউরোপের বৃহত্তম পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র। রুশ বাহিনী আক্রমণ করে আগুন ধরিয়ে দেয়।

ইউক্রেনের ন্যাশনাল ইমার্জেন্সি সার্ভিস জানিয়েছে, ফায়ার সার্ভিস আগুন নিয়ন্ত্রণে এনেছে। এদিকে হামলার পর জাপোরিঝিয়া পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রের নিয়ন্ত্রণ নিয়েছে রুশ বাহিনী।

এর আগে, ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী জাপোরিঝিয়া পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রে অগ্নিকাণ্ডের খবর পাওয়ার পরপরই জেলেনস্কিকে ফোন করেন।

জনসন বলেন, পরিস্থিতির অবনতি যাতে না হয় তার জন্য যুক্তরাজ্য যথাসাধ্য চেষ্টা করবে। তিনি আগামী কয়েক ঘণ্টার মধ্যে জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদের জরুরি বৈঠকের আহ্বান জানিয়েছেন। যুক্তরাজ্য রাশিয়া এবং তার ঘনিষ্ঠ অংশীদারদের কাছে অবিলম্বে বিষয়টি উত্থাপন করবে।

এদিকে ডাউনিং স্ট্রিটের একজন মুখপাত্র জাপোরিঝিয়া পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রে হামলাকে “গভীরভাবে উদ্বেগজনক” বলে বর্ণনা করেছেন।

তিনি বলেন, রাশিয়াকে অবিলম্বে বিদ্যুৎ কেন্দ্রে হামলা বন্ধ করতে হবে। উভয় নেতাই এ বিষয়ে একমত হয়েছেন। একই সময়ে, প্ল্যান্টে জরুরি পরিষেবাগুলিতে নিরবচ্ছিন্ন অ্যাক্সেসের অনুমতি দিতে হবে। “

মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।