অধ্যাপক ফারজানার বিরুদ্ধে শিক্ষার্থীদের কাঁঠাল মিছিল
আর্থিক দুর্নীতি ও শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের ওপর হামলার অভিযোগের সুরাহা না হওয়ায় জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের (জাবি) সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক ফারজানা ইসলামের বাসার সামনে কাঁঠাল মিছিল করেছে শিক্ষার্থীরা।
বুধবার বিকেল সাড়ে ৫টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবহন চত্বর থেকে তারা মিছিল শুরু করেন। ফারজানা ইসলামী বঙ্গবন্ধু শিক্ষক পরিষদের শিক্ষকরা মিছিল নিয়ে উপাচার্যের বাসভবন অভিমুখে মিছিলে বাধা দেন।
দুই পক্ষের মধ্যে কথা কাটাকাটির পর শিক্ষার্থীদের তোপের মুখে শিক্ষকরা সড়ক ছেড়ে দেন। পরে বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা বাসভবনের সামনে জড়ো হয়ে পাশের সড়কে সংক্ষিপ্ত সমাবেশ করে। সমাবেশে তারা অধ্যাপক ফারজানা ইসলামের বিরুদ্ধে আনীত দুর্নীতি ও শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের ওপর হামলার অভিযোগের দ্রুত বিচার দাবি করেন।
বিশ্ববিদ্যালয় সংসদের ছাত্র সংসদের সভাপতি রাকিবুল রনি বলেন, ফারজানা ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্য লজ্জাজনক। যদিও তার বিরুদ্ধে ২ কোটি টাকা আত্মসাৎ এবং ছাত্রদের মারধরের অভিযোগ ছিল, তার অনুসারীরা তোষামোদকারী শিক্ষকদের সহায়তায় তদন্তে কোনো অগ্রগতি দেখতে পাননি। ফারজানা ইসলামের মতো ভিসি কেউ চায় না। ‘
ছাত্ররা ২০১৭ সালে ক্যাম্পাসে কাঁঠাল নিয়ে মিছিলের ঘটনার কথা মনে করিয়ে দেয়। ওই বছর ক্যাম্পাসে আন্দোলনে অংশ নেওয়া ৬৪ শিক্ষার্থীর বিরুদ্ধে মামলা করেন অধ্যাপক ফারজানা। তিনি অভিযোগ করেন, শিক্ষার্থীরা তার বাসায় কাঁঠাল ছুড়ে মারে।
একই সঙ্গে বিশ্ববিদ্যালয়ের উন্নয়ন প্রকল্প থেকে ছাত্রলীগকে টাকা দেওয়ার অভিযোগে উত্তাল হয়ে ওঠে জাবি ক্যাম্পাস।
ওই ঘটনার প্রতিবাদে এই কাঁঠাল মিছিল হয়েছে বলে জানান শিক্ষার্থীরা।
বঙ্গবন্ধু শিক্ষক পরিষদের সভাপতি অধ্যাপক অজিত কুমার মজুমদার বলেন, আমি অধ্যাপক ফারজানা ইসলামের সঙ্গে দেখা করতে এসেছি। আমি শিক্ষার্থীদের বাধা দিতে আসিনি। তবে পরিস্থিতি বেগতিক দেখে শিক্ষার্থীদের সঙ্গে কথা বলতে যাই। আমাদের সহকর্মী ফারজানা ইসলামের নিরাপত্তা।’
বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রক্টর এএসএম ফিরোজ-উল-হাসান বলেন, শিক্ষার্থীরা ক্ষুব্ধ। তাদের দাবি, শিক্ষার্থীদের ওপর নির্যাতন করা হয়েছে। এ কারণে তারা উপাচার্যের বাসভবনের সামনে অবস্থান নিয়েছেন। অধ্যাপক ফারজানা ইসলাম আর উপাচার্য নেই। কিন্তু তিনি আমাদের সহকর্মী। আমরা ওই জায়গা থেকে শিক্ষার্থীদের বোঝানোর চেষ্টা করি। ‘
২০১৪ সালে, অধ্যাপক ড. জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথম উপাচার্য হলেন ফারজানা ইসলাম। প্রথম মেয়াদ শেষে ২০১৮ সালের ফেব্রুয়ারিতে তাকে আবার দায়িত্ব দেওয়া হয়। একই বছরের ২ মার্চ তিনি দ্বিতীয় মেয়াদে দায়িত্ব নেন।