খুলনা নগর বিএনপির আহবায়ক কমিটির অনুমোদন।বাদ নেই মঞ্জুর অনুসারীরাও

0

আসাদুজ্জামান মুরাদ ছাত্রদল থেকে বিএনপির রাজনীতিতে এসে সোনাডাঙ্গা থানা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক হন। আন্দোলনের ১৩ বছরের মধ্যে দুই বছর তিনি কারাগারে ছিলেন। তাকে ৩০টি রাজনৈতিক মামলার আসামি করা হয়েছে। প্রতিটি কর্মসূচিতে সামনের সারিতে থাকা এই নেতা খুলনা মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক কমিটিতে স্থান পাননি।

গত ১৩ বছরে অধ্যক্ষ তরিকুল ইসলাম বিএনপির প্রতিটি কর্মসূচিতে অংশ নিয়েছেন। এ পর্যন্ত তাকে প্রায় ৪২টি রাজনৈতিক মামলার আসামি করা হয়েছে। প্রায় সাত মাস জেল খেটেছেন তিনি। আমাকেও চাকরি ছাড়তে হয়েছে। আহ্বায়ক কমিটিতেও এই ত্যাগী নেতার স্থান ছিল না।

শুধু আসাদুজ্জামান মুরাদ বা অধ্যক্ষ তরিকুল ইসলাম নন; হামলা, মামলা ও নির্যাতনের মুখে গত ১৩ বছরে যারা খুলনায় বিএনপির হাল ধরেছেন তাদের বেশির ভাগই পূর্ণাঙ্গ কমিটি থেকে বাদ পড়েছেন। তারা নগর বিএনপির বিদায়ী সভাপতি নজরুল ইসলাম মঞ্জুর অনুসারী হিসেবে পরিচিত ছিলেন। ১৩ বছর ধরে রাজনীতিতে নিষ্ক্রিয় থাকা নেতারা তাদের জায়গায় জায়গা পেয়েছেন।

মঙ্গলবার খুলনা মহানগর বিএনপির ৭১ সদস্যের কমিটি অনুমোদন দিয়েছে কেন্দ্র। পূর্ণাঙ্গ আহ্বায়ক কমিটিতে ১৭ জন যুগ্ম আহ্বায়ক এবং ৫৩ জন সদস্য রয়েছে।

এর আগে গত ৯ ডিসেম্বর শফিকুল আলম মনাকে আহ্বায়ক ও শফিকুল আলম তুহিনকে সদস্য সচিব ঘোষণা করা হয়। এরই জের ধরে গত ২৫ ডিসেম্বর নজরুল ইসলাম মঞ্জুকে কেন্দ্রীয় বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক পদ থেকে অব্যাহতি দেওয়া হলে এর প্রতিবাদে মহানগর বিএনপির গণপদত্যাগ শুরু হয়। এরপর থেকে বিএনপিতে মঞ্জুর অনুসারীরা নিষ্ক্রিয়।

বিএনপি নেতাদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, খুলনা মহানগর বিএনপির বিলুপ্ত কমিটির অধিকাংশ নেতা নজরুল ইসলাম মঞ্জুর ২৯ বছর ধরে দায়িত্বে থাকায় তার অনুসারী। তাদের নেতৃত্বে আন্দোলন-কর্মসূচি পরিচালিত হয়েছে। এ কারণে তারা মামলা ও নির্যাতনের শিকার হয়েছেন। মঞ্জুর অনুসারীদের বিএনপির কমিটি থেকে বাদ দিতে আন্দোলনে নেতৃত্বদানকারী মুরতাদ নেতারা বাদ পড়েছেন।

দৌলতপুর থানা বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক সিরাজুল হক নান্নু বলেন, তিনি ১৩ বছরে ৩০টি মামলার আসামি হয়ে বারবার কারাবরণ করেছেন। তখন যাদের খোঁজ ছিল না তারাই এখন নেতা। আমরা দল থেকে নির্বাসিত।

অধ্যক্ষ তরিকুল ইসলাম বলেন, এটি একটি সিন্ডিকেটের একচেটিয়া আধিপত্য বিস্তারের চেষ্টা। ফলে খুলনায় বিএনপির অতীত উচ্চতা নিচে নেমে যাচ্ছে।

মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক শফিকুল আলম মনা বলেন, আহ্বায়ক কমিটি গঠনের পর থেকে তারা আমাদের কর্মসূচিতে অংশ নেননি। যারা আমাদের মানে না, তাদের কমিটি দিয়ে কী করবেন? আমাদের সঙ্গে যারা এসেছেন তারা পদ পেয়েছেন। তিনি বলেন, আমরা একটি পূর্ণাঙ্গ কমিটি গঠন করব। তারা ফিরে আসতে চাইলে ভবিষ্যতে তাদের পদ দেওয়া হবে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *