ইউক্রেনে রাশিয়ার হামলা।রুশ সৈন্য  রুখতে ইউক্রেনের মানব ঢাল

0

Description of image

রাশিয়ার ক্ষেপণাস্ত্র ও গোলাবর্ষণে ইউক্রেনের সামরিক স্থাপনা ধ্বংস হয়ে যাচ্ছে। হামলার ষষ্ঠ দিনে, ৬৫ কিলোমিটার দীর্ঘ রাশিয়ান সেনাবাহিনীকে গতকাল কিয়েভের দিকে অগ্রসর হতে দেখা গেছে। রাতে মস্কো হামলা চালাতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। তবে ইউক্রেনীয়রা বলেছে যে তারা রুশ ট্যাংকের সারি সামনে মানব দেয়াল তৈরি করে প্রতিরোধের প্রস্তুতি নিচ্ছে। ফলে কিয়েভে কী ঘটছে সেদিকে তাকিয়ে আছে পুরো বিশ্ব।

যদিও যুদ্ধক্ষেত্রে রক্তক্ষয়ী এবং ধ্বংসাত্মক যুদ্ধ অব্যাহত রয়েছে, রাশিয়া ইউক্রেনের বাইরের দেশগুলির আক্রমণের মুখে পড়েছে। ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসনসহ অনেকেই এখন প্রায় সব ধরনের সামরিক, বেসামরিক ও অর্থনৈতিক নিষেধাজ্ঞার মুখে জাতিসংঘে দেশটির সদস্যপদ স্থগিত বা বাতিলের কথা বলছেন। ফলে বিশ্বের অন্যান্য দেশ থেকে বিচ্ছিন্ন ইউক্রেনের যুদ্ধে রাশিয়া কতদিন টিকে থাকতে পারবে তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে।

রাশিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় সোমবার বিকেলে এক বিবৃতিতে বলেছে যে একটি বড় ট্যাংক বহর কিয়েভের দিকে রওনা হওয়ার পর ইউক্রেনের রাজধানীতে নিরাপত্তা কেন্দ্রের প্রযুক্তি কেন্দ্রসহ বিভিন্ন স্থাপনায় হামলা চালাবে। যাতে বেসামরিক লোকেরা দ্রুত কিয়েভ ছেড়ে চলে যায়।

কিয়েভ টেলিভিশন ভবন এবং খারকিভ কেন্দ্রে রাশিয়ার হামলা: ইউক্রেন দাবি করেছে রাশিয়া কিয়েভের একটি টেলিভিশন ভবন, দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের স্মৃতিসৌধ এবং খারকিভের ফ্রিডম স্কোয়ারে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়েছে। এতে অন্তত ১০ জন নিহত হয়েছেন।

বাইডেন-জেলেনস্কি ফোন কথোপকথন: গতকাল মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের সাথে ফোনালাপের সময় জেলেনস্কি বলেন, “আমাদের অবশ্যই আক্রমণকারীদের থামাতে হবে।” যাইহোক, বাইডেন ইউক্রেনের উপর “নো-ফ্লাই জোন” ঘোষণা করার জন্য জেলেনস্কির আহ্বানে সাড়া দেননি। এদিকে মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্থনি ব্লিঙ্কেন জাতিসংঘের মানবাধিকার কাউন্সিল থেকে রাশিয়াকে বাদ দেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন।

মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।