নির্বাচন কমিশন গঠন।দায়িত্ব পেতে আগ্রহী আমলাদের

0

প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি)সহ আরও চার কমিশনার পদে যারা মনোনীত হয়েছেন তাদের অনেকেই নির্বাচন কমিশনের (ইসি) দায়িত্ব নিতে আগ্রহী। সাবেক আমলাদের সংখ্যাই বেশি। আবার তালিকার একটা বড় অংশ দায়িত্ব নিতে নারাজ। আগ্রহীরা বলছেন, দায়িত্ব পেলে নিরপেক্ষভাবে সুষ্ঠু নির্বাচন করবেন। কিছু অনাগ্রহী মানুষ বলেছে- নিজেকে যোগ্য মনে করেন না।

আগামী নির্বাচন কমিশনের সার্চ কমিটিতে ২১টি দল, বিভিন্ন সংগঠন ও ব্যক্তি ৩১৫ জনের নাম দিয়েছে। যার মধ্যে অন্তত ৮৯ জন অবসরপ্রাপ্ত আমলা ১৫ জন বিচারক, ২৩ জন বিচারপতি  ২৬ জন আইনজীবীসহ ৬৪ জন বিচারক রয়েছেন। তালিকায় ৪৬ জন শিক্ষাবিদ, ২৭ জন অবসরপ্রাপ্ত সশস্ত্র বাহিনী অফিসার, ৯ জন প্রাক্তন পুলিশ অফিসার এবং অন্যান্যদের নাম রয়েছে। এছাড়াও সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের চার উপদেষ্টা, প্রতিমন্ত্রী ও তিন সাবেক নির্বাচন কমিশনারের নাম রয়েছে। সাংবিধানিক পদে থাকার অভিজ্ঞতা আছে এমন অনেকের নাম প্রস্তাবে উল্লেখ করা হয়েছে।

নির্বাচন কমিশনের দায়িত্ব নিতে আগ্রহ প্রকাশ করেছেন সাবেক সচিব জিল্লার রহমান  বলেন, তিনি তার কর্মজীবনে রাষ্ট্রের জন্য অনেক কিছু করেছেন। মাঠ প্রশাসনে নির্বাচন পরিচালনার ১২ বছরের অভিজ্ঞতা রয়েছে। চাকরি থেকে অবসর নেওয়ার পরও রাষ্ট্রের প্রতি একটা দায়িত্ব থাকে। নির্বাচন কমিশনের দায়িত্ব পেলে নিরপেক্ষ নির্বাচন নিশ্চিত করতে কাজ করবেন।

তার মতো আরও বেশ কয়েকজন সাবেক আমলা, যাদের নাম তালিকায় আছে, তারা নতুন নির্বাচন কমিশনের দায়িত্ব নিতে চান।

পুলিশের সাবেক মহাপরিদর্শক এ কে এম শহীদুল হক দায়িত্ব নিতে আগ্রহী। তিনি বলেন, তার দীর্ঘ কর্মজীবনে সরকার তাকে যে দায়িত্ব দিয়েছে তা নিষ্ঠার সঙ্গে পালন করেছেন। নির্বাচন কমিশনের দায়িত্ব পেলে সুষ্ঠু নির্বাচনের আয়োজন করবেন।

সার্চ কমিটিতে আসা এনবিআরের সাবেক চেয়ারম্যান ড. মোহাম্মদ আবদুল মজিদ বলেন, নির্বাচন কমিশনার পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার ইচ্ছা প্রকাশ করা তার নিরপেক্ষতা বা স্বার্থপরতার অবস্থানকে ক্ষুণ্ন করে। আমাদের আবার অনাগ্রহ দেখানো উচিত নয়। রাষ্ট্র নাগরিককে দায়িত্ব দিলে তা পালন করা বাধ্যতামূলক।

১৩ বছর আগে অবসরে যাওয়া হাইকোর্টের বিচারপতি মো. আবদুর রশিদ বলেন, তার বয়স ৮০ বছরের বেশি। গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র হিসেবে অবশ্যই জাতি সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন চায়, এটাই সবার প্রত্যাশা। শরীর, স্বাস্থ্য ও বয়স বিবেচনা করে মানুষের প্রত্যাশা পূরণ করা তার পক্ষে সম্ভব নয়। সাহস দেখিও না. কে বা কারা সার্চ কমিটিতে তার নাম দিয়েছে আমি জানি না।

বিচারপতি রশিদ বলেন, সুষ্ঠু ও বিশ্বাসযোগ্য নির্বাচন করা সরকারের জন্য চ্যালেঞ্জ। আগামী নির্বাচনের দিকে তাকিয়ে গোটা বিশ্ব।

ব্যবসায়ীদের শীর্ষ সংগঠন এফবিসিসিআই সভাপতি ড. জসিম উদ্দিন বলেন, একজন নিয়মিত ব্যবসায়ী হিসেবে ব্যবসাই মূল লক্ষ্য। নির্বাচন কমিশনের দায়িত্ব নেওয়ার কোনো সময়, ব্যবস্থা বা পরিস্থিতি নেই। তবে আশা করছি, একটি শক্তিশালী নির্বাচন কমিশন গঠন করা হবে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *