শাবির উপাচার্যকে দু:খ প্রকাশের কথা বলেছেন শিক্ষামন্ত্রী
শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (শাবিপ্রবি) উপাচার্য অধ্যাপক ফরিদ উদ্দিন আহমেদকে সবার কাছে দুঃখ প্রকাশের কথা বলেছেন দীপু মনি। শুক্রবার সন্ধ্যায় শাবি উপাচার্যের কার্যালয়ে শিক্ষামন্ত্রী ড. দীপু মনি শিক্ষকদের সঙ্গে আলোচনাকালে উপাচার্যের উদ্দেশে এ কথা বলেন বলে গণমাধ্যমকে জানান বিশ্ববিদ্যালয়ের কোষাধ্যক্ষ ড. মোঃ আনোয়ারুল ইসলাম।
কোষাধ্যক্ষ বলেন, আলোচনায় মন্ত্রী বলেন, ১৬ জানুয়ারির ঘটনা কারো কাম্য নয়। ভাইস চ্যান্সেলর হিসেবে আপনার কিছু দায়িত্ব আছে। সেই অবস্থান থেকে আপনি দুঃখ প্রকাশ করবেন। আগের মতোই সবাইকে নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয় দিবস উদযাপন করতে হবে। এছাড়া উপাচার্য উপস্থিত থাকবেন কি থাকবেন না তা তদন্ত সাপেক্ষ। তিনি উপাচার্যকে তার পদত্যাগের বিষয়ে সিদ্ধান্ত না হওয়া পর্যন্ত বিশ্ববিদ্যালয়ে তার স্বাভাবিক দায়িত্ব পালন করতে বলেছেন।
এদিকে সন্ধ্যা ৭টা ৪৫ মিনিটে বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাসে এসে শিক্ষার্থীদের উদ্দেশে ভাষণ দেন মন্ত্রী। উপাচার্যের অপসারণের বিষয়ে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, আমরা প্রথম শিক্ষার্থীদের দাবি শুনেছি এবং আমরা মাননীয় আচার্যকে সব কিছু জানাব। কারণ আইন অনুযায়ী উপাচার্যের নিয়োগ ও অপসারণ আচার্যের একক এখতিয়ার। আমরা তাকে আপনার যুক্তি এবং বিবৃতি জানাব এবং অবহিত করব এবং তিনি তার বিবেচনার ভিত্তিতে সিদ্ধান্ত নেবেন। আমরা চাই শাবি যত তাড়াতাড়ি সম্ভব সম্পূর্ণ স্বাভাবিক শিক্ষার পরিবেশে ফিরে আসুক।
হল চালুর বিষয়ে মন্ত্রী বলেন, হল চালুর বিষয়ে প্রশাসনের সঙ্গে কথা বলব। সাথে সাথে শিক্ষার পরিবেশ ফিরে আসে। পরে মন্ত্রী বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসন ভবন পরিদর্শন করেন এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক ও প্রশাসনের সঙ্গে কথা বলেন।
এসময় শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের প্রশংসা করে মন্ত্রী বলেন, আপনাদের আন্দোলনের আবারও প্রশংসা করছি। এটা ছিল খুবই ভালো এবং অহিংস আন্দোলন।
তিনি বলেন, ছাত্র প্রতিনিধি দলের সঙ্গে আমাদের দীর্ঘ আলোচনা হয়েছে। তারা বিভিন্ন বিষয়ে আমাদের অবহিত করেছেন এবং কিছু লিখিত দাবি বা প্রস্তাব পেশ করেছেন। যে দাবিগুলো করা হয়েছে তা খুবই যৌক্তিক। অনেকের কাজ ইতিমধ্যেই শুরু হয়ে গেছে। আর কেউ কেউ এই দাবির পরিপ্রেক্ষিতে ব্যবস্থা নেবেন। কারণ আপনার বেশিরভাগ দাবিই শিক্ষার মান ও শেখার পরিবেশের উন্নতির সাথে সম্পর্কিত। আমাদের লক্ষ্য শিক্ষার্থীদের একটি উপযুক্ত এবং সুন্দর পরিবেশে পড়াশোনা করতে সক্ষম করা। আমরা শিক্ষার্থীদের প্রস্তাবের সাথে নীতিগতভাবে একমত।
এদিকে মন্ত্রীর সঙ্গে শিক্ষার্থীদের আলোচনা চলাকালে পুলিশি নিরাপত্তায় ২৮ দিন পর উপাচার্যের কার্যালয়ে আসেন উপাচার্য অধ্যাপক ফরিদ উদ্দিন আহমেদ।