নারীর প্রতি বৈষম্য বিদ্বেষ ও সহিংসতা কমছেই না

0

উন্নত বিশ্বের সাথে তাল মিলিয়ে বাংলাদেশের নারীরা এগিয়ে যাবে উন্নত বাংলাদেশ গড়ার স্বপ্ন বাস্তবায়নের জন্য, বলেন অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস। তিনি উল্লেখ করেন যে, বাংলাদেশের নারীদের উন্নয়ন ও ক্ষমতায়নের প্রতি আমাদের অঙ্গীকার হওয়া উচিত।

Description of image

শনিবার ‘আন্তর্জাতিক নারী দিবস’ উপলক্ষে প্রদত্ত এক বার্তায় তিনি এ কথা বলেন।

প্রধান উপদেষ্টা বলেন, ‘বর্তমান অন্তর্বর্তীকালীন সরকার নারীদের সম্ভাবনা এবং দক্ষতাকে উৎপাদনশীল কাজে সম্পৃক্ত করে উন্নত বাংলাদেশ গড়ার কাঙ্ক্ষিত লক্ষ্য অর্জনে অক্লান্ত পরিশ্রম করছে।’

তিনি বলেন, ‘জুলাই-আগস্টে বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক রূপান্তরের আকাঙ্ক্ষায় ছাত্র, শ্রমিক এবং জনসাধারণ যে গণঅভ্যুত্থান সংগঠিত করেছিল, তার নেতৃত্বে ছিল নারীরা। বিভিন্ন ক্যাম্পাসে লক্ষ লক্ষ শিক্ষার্থী নিপীড়নের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করেছিল। এই গণঅভ্যুত্থানে বেশ কয়েকজন নারী শহীদ হয়েছেন। এই গণঅভ্যুত্থানে আত্মত্যাগকারীদের আমি শ্রদ্ধার সাথে স্মরণ করি এবং জুলাইয়ের যোদ্ধাদের প্রতি আমার সমবেদনা জানাই।’

দেশের মোট জনসংখ্যার অর্ধেক নারী, এই কথা উল্লেখ করে ড. ইউনূস বলেন যে, তারা সকল ক্ষেত্রে এগিয়ে যাচ্ছেন। নারী অধিকার ও ক্ষমতায়নের পাশাপাশি, দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নসহ প্রতিটি ক্ষেত্রে নারীর অংশগ্রহণ ও অংশীদারিত্ব বৃদ্ধির জন্য মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয় বহুমুখী কর্মসূচি বাস্তবায়ন করছে।

তিনি আরও বলেন, নির্যাতিত, দুস্থ ও অসহায় নারীদের জন্য আশ্রয়কেন্দ্র, আইনি সহায়তা প্রদানের জন্য নারী সহায়তা কেন্দ্র, কর্মজীবী ​​নারীদের জন্য আবাসন এবং নারীদের আত্মকর্মসংস্থান সৃষ্টির জন্য সহায়তা ও ক্ষুদ্রঋণ কর্মসূচি নারীদের আর্থিকভাবে স্বাবলম্বী করে তোলা এবং সামাজিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করার ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে।

প্রধান উপদেষ্টা বলেন, বাংলাদেশের অদম্য মেয়েরা দেশের সীমানা ছাড়িয়ে আন্তর্জাতিক অঙ্গনে নিজস্ব গৌরব নিয়ে এগিয়ে চলেছে। নারীদের অর্জনকে স্বীকৃতি দেওয়ার জন্য বিভিন্ন উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে, যার মধ্যে রয়েছে ‘অদম্য নারী পুরস্কার’ এবং ‘বেগম রোকেয়া পদক’।

প্রসঙ্গত, ৮ মার্চ আন্তর্জাতিক নারী দিবস। ১৯৭৫ সালে জাতিসংঘ ৮ মার্চকে আন্তর্জাতিক নারী দিবস হিসেবে স্বীকৃতি দেয়। বিশ্বের অন্যান্য দেশের মতো বাংলাদেশেও নারীর অধিকার রক্ষার জন্য প্রতি বছর এই দিবসটি পালিত হয়। এই বছরের নারী দিবসের প্রতিপাদ্য হলো: অধিকার, সমতা, ক্ষমতায়ন – নারী ও মেয়েদের উন্নয়ন।

মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।