করোনায় স্কুলে আসতে মাইকিং, কোচিং চলছে
২১ জানুয়ারি থেকে ৬ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত দেশের সব স্কুল-কলেজ বন্ধ ঘোষণা করেছে সরকার। শিক্ষার্থীদের মাইকে প্রচার করে স্কুলে আসতে বলা হয়েছে। নাসিরনগর উপজেলার চাতলপাড় ইউনিয়নের বরানগর উচ্চ বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ সরকারি আদেশ অমান্য করে মহামারি করোনা ভাইরাসে কোচিং করেছে বলে অভিযোগ উঠেছে। এমন অভিযোগ করেছেন বিদ্যালয়ের একাধিক শিক্ষার্থী, অভিভাবক ও শিক্ষকরা।
তবে অভিযোগ অস্বীকার করেছেন বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক। সজল মিয়া বলেন, মাইকে প্রচার করে শিক্ষার্থীদের স্কুলে আসতে বলা হয়েছে এটা সত্য। তবে ক্লাসের জন্য নয়, শিক্ষার্থীদের কিছু অফিসিয়াল কাজে আসতে বলা হয়েছে।
অপরদিকে, নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক নবম শ্রেণির কয়েকজন শিক্ষার্থী বলেন, ‘আমাদের স্কুলের শিক্ষক মোঃ আমিনুল ফরহাদ ও সজল মিয়া স্কুলে কোচিং করতে আসতে বলেছেন।’
এখনো ক্লাস বন্ধ কেন জানতে চাইলে তারা বলেন, ‘ক্লাসের নামে কোচিং করানো হচ্ছে। কোচিংয়ে না এলে বাড়িতে ফোন করে হুমকি দেন স্যারেরা।
জানা গেছে, বরানগর উচ্চ বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ গত ২২ জানুয়ারি রাতে চাতলপাড় ইউনিয়নের ঘুজিয়াখাই, বরানগর ও আরও কয়েকটি গ্রামে মাইকিং করে সব ছাত্র-ছাত্রীকে স্কুলে আসতে বলে। এরপর থেকে রোববার থেকে শিক্ষার্থীরা নিয়মিত স্কুলে আসছে এবং কোচিং করছে। কোচিং সকাল ৮:৩০ থেকে ১০টা পর্যন্ত চলে।
এজন্য প্রত্যেক শিক্ষার্থীকে ৬০০ টাকা দিতে হয়। প্রতিটি বেঞ্চে চারজন বসে। কোচিংয়ে আসতে না চাইলে কম নম্বর পাওয়া বা পরীক্ষার খাতায় ফেল করার হুমকি দেওয়া হচ্ছে বলেও জানিয়েছেন অনেকে।
এ ব্যাপারে বড় শহরের উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. একাধিকবার ফোন করেও আবদুল কাদিরের সঙ্গে মোবাইল ফোনে কথা বলা সম্ভব হয়নি।
উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার মো. আজহারুল ইসলাম ভূঁইয়া জানান, বিদ্যালয় আনুষ্ঠানিকভাবে বন্ধ রয়েছে। তারপরও কেউ কোচিং করার জন্য স্কুল খোলা রেখে যাওয়া আইন বিরোধী।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) হালিমা খাতুন বলেন, সরকারি নির্দেশ অমান্য করে স্কুল খোলা রেখে কোচিং করার কোনো সুযোগ নেই। বিষয়টি তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।