পরিবহন ঠিকাদার থেকে বিটুমিন প্রতারণার গডফাদার।

0

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আব্দুল মোনায়েমের তত্ত্বাবধানে তিনি বিটুমিন পরিবহনে  ঠিকাদার হিসেবে কাজ শুরু করেন। সরবরাহের সময় বিভিন্ন ঠিকাদারের সাথে পরিচিতির মাধ্যমে তিনি সরবরাহকারী (ট্রেডার) হয়ে ওঠেন। তার বিটুমিন প্ল্যান্ট নেই বা আমদানিও করেন না; কিন্তু তিনি সমগ্র দেশে নিম্নমানের বিটুমিন বাজার নিয়ন্ত্রণ করেন। প্রতারণা ও জালিয়াতির মাধ্যমে বিটুমিনের কালোবাজারি নিয়ন্ত্রণ করে তিনি এই খাতের গডফাদার হয়ে ওঠেন।

Description of image

এতে একদিকে যেমন সড়ক ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে, অন্যদিকে সরকারের রাজস্ব ক্ষতি বাড়ছে। আবার ট্রেড লাইসেন্স, ভ্যাট এবং ট্যাক্স লাইসেন্স না থাকার কারণে সরকার বঞ্চিত হচ্ছে। বিটুমিন খাতে সরকারের ভর্তুকির টাকা চলে যাচ্ছে সিন্ডিকেটের পকেটে যাচ্ছে। এই অভিযোগগুলি রহমান কর্পোরেশনের মালিক মোস্তফা কামাল এবং তাকে ঘিরে গড়ে ওঠা সিন্ডিকেটের বিরুদ্ধে।

অভিযোগ রয়েছে – বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম কর্পোরেশনের মালিকানাধীন ইস্টার্ন রিফাইনারিতে উৎপাদিত ৮০-১০০ গ্রেডের বিটুমিন নিজস্ব ড্রামে ভরে ৬০-৭০ গ্রেডের বিটুমিন হিসেবে বিক্রি করা হচ্ছে। জালিয়াতির অংশ হিসেবে, ঠিকাদারের প্যাড এবং স্বাক্ষর জাল করে চাহিদার চেয়ে কয়েকগুণ বেশি বরাদ্দ নেওয়া হয়। । যদিও একাধিক সরবরাহকারী ছিল, রহমান কর্পোরেশন রহস্যজনকভাবে এর বেশিরভাগই বের করে নিয়েছে। সরকারি কাজ বাস্তবায়নকারী সংস্থাগুলি ইস্টার্ন রিফাইনারিতে উৎপাদিত বিটুমিনকে অগ্রাধিকার দেওয়ার কারণেই এই জালিয়াতি ঘটছে।

সড়ক বিভাগ এবং স্থানীয় সরকার বিভাগের প্রকৌশলীরা এ বিষয়ে অন্ধকারে রয়েছেন। কারণ প্রকৌশলীরা যখন ইস্টার্ন রিফাইনারির সিল দেখেন, তখন তারা মান নিয়ে প্রশ্ন তোলেন না বা ল্যাব পরীক্ষার জন্য যান না। ধূর্ত মোস্তফা কামাল সেই সুযোগটি কাজে লাগিয়েছিলেন। আমাদের সময়ের তদন্তে এমন চাঞ্চল্যকর তথ্য প্রকাশ পেয়েছে। তদন্তে বলা হয়েছে যে জালিয়াতির মাধ্যমে রাস্তায় নিম্নমানের বিটুমিন সরবরাহের ক্ষেত্রে রহমান কর্পোরেশনই মূল অপরাধী।

সুত্রেঃ আমাদের সময়।

মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।