ঢামেক হাসপাতালে ফের গ্রেফতার ভুয়া চিকিৎসক

0

ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে ডালিয়া আক্তার সামিয়া (৩২) নামে এক ভুয়া নারী চিকিৎসককে আটক করা হয়েছে। এ সময় ওই নারীর শরীরে ডাক্তারের এপ্রোন এবং গলায় স্টেথোস্কোপ ঝুলছিল। এ ঘটনায় তার বিরুদ্ধে শাহবাগ থানায় মামলা হয়েছে। এ মামলায় তাকে আদালতে প্রেরণ করেছে পুলিশ।

Description of image

মঙ্গলবার সকাল ১১টায় ঢামেক হাসপাতালের বার্ন ইউনিট থেকে তাকে আটক করে পুলিশে সোপর্দ করে বার্ন ইউনিটের কর্তৃপক্ষ।

ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে শাহবাগ থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) মাহমুদুল হাসান বলেন, “সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ আমাদের জানিয়েছে যে সামিয়া নামের এক নারীকে বার্ন ইউনিটে এপ্রোন পরা অবস্থায় আটক করা হয়েছে। ওই নারীর বিরুদ্ধে প্রতারণার অভিযোগ রয়েছে। এ ঘটনায় থানায় তাকে আদালতে পাঠানো হয়েছে।

তিনি আরও বলেন, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে সামিয়া স্বীকার করেছে যে সে ডাক্তার নয়, কিন্তু সে একজন রোগী নিয়ে এসে বার্ন ইউনিটের চিকিৎসকের কাছে নিজেকে ডাক্তার পরিচয় দেয়। তবে তদন্তের পর সামিয়ার বিষয়ে বিস্তারিত জানা যাবে।

বার্ন ইউনিটে চিকিৎসা নিতে আসা কেরানীগঞ্জের জিঞ্জিরার বাসিন্দা মো: আরমান বলেন, ‘এক বছর আগে কক্সবাজারে হাঁটতে গিয়ে পায়ে চোট লাগে। পরে দীর্ঘদিন বার্ন ইউনিটে চিকিৎসা নিচ্ছি। সামিয়া আমার এক কাজিনের বোন যে সৌদি প্রবাসী। যখন আমি বার্ন ইউনিটে ভর্তি ছিলাম তখন তিনি আমার চিকিৎসার সময় আমাকে সাহায্য করেছিলেন। আজ সকালে, আমি ফলো-আপ চিকিৎসার জন্য বার্ন ইউনিটে এসেছি। আসার আগে এই ভদ্রমহিলাকে জানিয়ে দিলাম। পরে তাকে ডাক্তারের কাছে নিয়ে যাই।

তিনি আরও বলেন, ‘সেখানে সে মিথ্যা পরিচয় দিয়েছে কিনা আমি খেয়াল করিনি। লেখাপড়া সম্পর্কে তেমন কিছু জানি না। সেখানকার ডাক্তার তার সাথে ইংরেজিতে কথা বলেন। পরে এক পর্যায়ে চিকিৎসক সেখানে কর্তব্যরত আনসারদের ডেকে সামিয়াকে তাদের কাছে হস্তান্তর করেন। এ সময় ওই চিকিৎসক বলেন, “সামিয়া নিজেকে ডাক্তার বলে পরিচয় দিয়েছেন। সে একজন প্রতারক।”

ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বার্ন ইউনিটের সহযোগী অধ্যাপক ডা. নাসির উদ্দিন বলেন, “এপ্রোন পরা এবং গলায় স্টেথোস্কোপ লাগানো এক তরুণীকে আটক করা হয়েছে। তবে তিনি নিজের পরিচয় দিলেও কিছু বলতে রাজি হননি। একজন ডাক্তার হিসেবে তার কাছ থেকে কোনো তথ্য বের করা সম্ভব হয়নি তার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *