হিন্দু এনজিও কর্মীর আত্মহত্যাকে সাম্প্রদায়িক হত্যা বলে মিথ্যাচার

0

চট্টগ্রামের বোয়ালখালীতে শুক্লা দে টিকলি নামে এক হিন্দু এনজিও কর্মীকে হত্যার যে প্রচারণা চালানো হয়েছে তা মিথ্যা বলে জানিয়েছে সত্যতা যাচাইকারী সংস্থা রুমার স্ক্যানার। আজ শনিবার তাদের ওয়েবসাইটে প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে তারা এ তথ্য জানিয়েছে।

Description of image

রিউমর স্ক্যানার জানিয়েছে, সম্প্রতি চট্টগ্রামের বোয়ালখালীতে শুক্লা দে টিকলি নামে এক হিন্দু নারীকে হত্যা করা হয়েছে বলে সোশ্যাল মিডিয়ায় দাবি করা হয়েছে। আসলে মানসিক চাপের কারণে আত্মহত্যাকে সাম্প্রদায়িক হত্যা বলে প্রচার করা হচ্ছে।

দাবির তদন্তে দেখা গেছে, যমুনা টেলিভিশনের ওয়েবসাইটে ‘চট্টগ্রামে এক নারী এনজিও কর্মীর লাশ উদ্ধার’ শিরোনামে একটি প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে। প্রতিবেদন পর্যালোচনা করে দেখা গেছে, প্রতিবেদনে ব্যবহৃত নারীর ছবির সঙ্গে সাম্প্রদায়িক হত্যাকাণ্ড বলে প্রচারিত নারীর ছবির মিল রয়েছে। প্রতিবেদনে আরও জানানো হয়েছে যে ছবির মহিলার নাম শুক্লা দে। তিনি রূপসা সর্বিকা গ্রাম উন্নয়ন সমবায় সমিতি লিমিটেড নামে একটি আর্থিক প্রতিষ্ঠানে মাঠকর্মী হিসেবে কর্মরত ছিলেন।

গত ৪ জানুয়ারি রাতে উপজেলার শ্রীপুর-খরদ্বীপ ইউনিয়নের পালপাড়া গ্রামের বাড়ি থেকে শুক্লা দে-এর মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।

তার স্বজনরা জানান, প্রতিষ্ঠানটি তাকে ঋণের কিস্তি আদায়ের জন্য চাপ দেয়। এ কারণে হতাশা থেকে সে আত্মহত্যার পথ বেছে নেয়।

এ ঘটনায় শুক্লার স্বামী সিদুল পাল বাদী হয়ে তাকে আত্মহত্যায় প্ররোচনার অভিযোগে প্রতিষ্ঠানের চার কর্মকর্তার বিরুদ্ধে মামলা করেছেন বলেও জানা গেছে।

মামলার বিবৃতিতে, তিনি অভিযোগ করেন যে শুক্লা ২০২৩ সালের মে মাসে প্রতিষ্ঠানের কানুনগোপাড়া শাখায় একজন মাঠকর্মী হিসেবে যোগদান করেন। প্রতিষ্ঠানটি এলাকার লোকজনকে ক্ষুদ্রঋণ প্রদান করে। ৫ আগস্ট থেকে কিস্তি আদায় ধীরগতিতে চলছে। ফলে কয়েক মাস ধরে শুক্লা ও প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তাদের মধ্যে দ্বন্দ্ব চলছে।

গত নভেম্বর মাসে শুক্লার মাসিক বেতন থেকে বকেয়া কিস্তির টাকা কেটে নেয় প্রতিষ্ঠানটি। মামলায় অভিযোগ করা হয়, ঋণের কিস্তি আদায়ের জন্য মানসিক চাপ ও নির্যাতন সইতে না পেরে শুক্লা আত্মহত্যা করেন। পরবর্তী তদন্তে একই ঘটনা সম্পর্কে ইন্ডিপেনডেন্ট টিভির ইউটিউব চ্যানেলে প্রকাশিত আরেকটি প্রতিবেদন থেকেও একই তথ্য উঠে আসে।

রিউমর স্ক্যানার বলেছে যে শুক্লা দে নামে একজন এনজিও কর্মীর আত্মহত্যাকে সাম্প্রদায়িক হত্যা বলে ইন্টারনেটে প্রচার করা হচ্ছে, যা বিভ্রান্তিকর।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *