মিজানুছ ছালাম একাডেমির শিক্ষার্থীরা বিশ্বে জ্ঞানের দ্যুতি ছড়াবে: সুফি মিজান

0

বন্দর নগরী চট্টগ্রামে ‘এরাবিক কালচার’ শীর্ষক এরাবিক ডিবেট ও মঞ্চনাটক অনুষ্ঠিত হয়েছে। গত সোমবার বিকালে পিএইচপি ফ্যামিলির সহযোগিতায় মিজানুছ ছালাম একাডেমি হল রুমে ‘মিজানুছ ছালাম এরাবিক ল্যাঙ্গুয়েজ সেন্টার’ এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে। এতে সভাপতিত্ব করেন মিজানুছ ছালাম এরাবিক ল্যাঙ্গুয়েজ সেন্টার ও পিএইচপি ফ্যামিলির চেয়ারম্যান সুফি মোহাম্মদ মিজানুর রহমান।

আরবি ভাষায় ডিবেট এবং শিক্ষনীয় নাট্যমঞ্চ- এ দুই  শিক্ষনীয় পর্বে ভাগ ছিল এ অনুষ্ঠান। পর্ব দুটিতে অংশ নেন মিজানুছ ছালাম এরাবিক ল্যাঙ্গুয়েজ সেন্টারের শিক্ষার্থীরা। প্রথম পর্বে পক্ষে ও বিপক্ষে দুই গ্রুপে মোট আটজন শিক্ষার্থী অংশ নেন। তাদের বিতর্কের বিষয় ছিলো ‘ফেইসবুকের উপকারিতা ও অপকারিতা’। শিক্ষার্থী মোহাম্মদ ইব্রাহিমের নেতৃত্বে তার দল ফেসবুকের পক্ষে ডিবেট কার্যক্রম পরিচালনা করেন এবং বিপক্ষের দল শিক্ষার্থী মোহাম্মদ আলী হায়দারের নেতৃত্বে ফেসবুকের বিপক্ষে তাদের ডিবেট কার্যক্রম পরিচালনা করেন। তুমুল লড়াইয়ের মধ্যদিয়ে তাদের ডিবেট অনুষ্ঠান ছিল খুবই উপভোগ্য। অভিজ্ঞ বিচারক এবং প্রাজ্ঞ বিতার্কিক সমন্বিত বিচারক প্যানেল নিরপেক্ষতা এবং মানসম্মত বিচারকার্য পরিচালনা করেন।  অভিজ্ঞ বিচারকমণ্ডলীর নিরপেক্ষ রায়ের মাধ্যমে বিপক্ষ দলকে বিজয়ী ঘোষণা করা হয়। দ্বিতীয় পর্বে শিক্ষনীয় নাট্যমঞ্চ উপস্থাপন করা হয়; এতে নয়টি চরিত্রে মোট ১৬ জন শিক্ষার্থী অংশগ্রহণ করেন। তাদের চমৎকার উপস্থাপনা অনুষ্ঠানকে আলোকিত করে তোলে। উপস্থিত সকলে শিক্ষনীয় নাট্যমঞ্চটি মুগ্ধ হয়ে দেখেন।  

স্বাগত বক্তব্যে পিএইচপি ফ্যামিলির চেয়রম্যান সুফি মোহাম্মদ মিজানুর রহমান বলেন, আরবি পরিবত্র কোরআনের ভাষা। ঐতিহ্যবাহী এ ভাষা অন্যান্য ভাষার চেয়ে প্রসিদ্ধ। এই ভাষার চর্চা হলে দেশ ও দেশের মানুষের জন্য কল্যাণ বয়ে আনবে। আরবি ভাষার চর্চায় মিজানুছ ছালাম একাডেমি দেশের মধ্যে একটি অনন্য প্রতিষ্ঠান হিসাবে খ্যাতি অর্জন করবে। এখান থেকে শিক্ষার্থীরা বের হয়ে পুরো বিশ্বেজ্ঞানের দ্যুতি ছড়াবে। এই প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে প্রাচীনতম শিক্ষা প্রতিষ্ঠান আল আযহার বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গে নিবিড় সম্পর্ক রয়েছে। ইসলামি উচ্চ শিক্ষায় প্রতি বছর এখান থেকে মিশরের এই বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ার সুযোগ পাচ্ছে। আমরা প্রকৃত ইসলামের চর্চা করতে চাই।

পিএইচপি ফ্যামিলির পরিচালক আলী হোসেন সোহাগ বলেন, প্রথমবারের মতো মিজানুছ ছালাম একাডেমি থেকে স্কলারশিপ নিয়ে আল আযহার বিশ্ববিদ্যালয়ে গেছে। আশা করি আগামীতে এ সংখ্যা আরও বাড়বে। এতে আরবি জ্ঞানে সমৃদ্ধ হয়ে তারা বিশ্বব্যাপী সঠিক ইসলামের বাণী পৌঁছাবেন। একাডেমির শিক্ষার্থীদের আরবি ভাষায় দক্ষতা দেখে বিস্ময় প্রকাশ করেন তিনি। 

অনুষ্ঠানে অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন পিএইচপি ফ্যামিলির পরিচালক জহিরুল ইসলাম রিংকু, পিপলস ইন্সুরেন্স কোম্পানি লিমিটেডের অতিরিক্ত ব্যবস্থাপনা পরিচালক সিরাজুল মোস্তফা, জামেয়া আহমাদিয়া সুন্নিয়া আলিয়া কামিল মাদ্রাসার সাবেক অধ্যক্ষ আল্লামা মুফতি সৈয়দ মোহাম্মদ অছিঅর রহমান, সাবেক মুফতি আল্লামা মুফতি কাজী আব্দুল ওয়াজেদ, সুবহানিয়া আলিয়া কামিল মাদ্রাসার সাবেক মুহাদ্দিস আল্লামা কাজী মোহাম্মদ মঈনুদ্দিন আশরাফি, জামেয়া আহমাদিয়া সুন্নিয়া আলিয়া কামিল মাদ্রাসার আরবি প্রভাষক হাফেজ মাওলানা মোহাম্মদ ওসমান গনী।

মিজানুছ ছালাম এরাবিক ল্যাঙ্গুয়েজ সেন্টারের সম্মানিত পরিচালক ড. মাওলানা মুহাম্মাদ মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম আযহারির সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে মাওলানা সৈয়দ মোহাম্মদ জালাল উদ্দীন আল আযহারী, মাওলানা মোহাম্মদ শায়েস্তা খান আল আযহারী, মাওলানা আবু আহমাদ আল আযহারী, মাওলানা ড. মোহাম্মদ ফখরুল ইসলাম কাদেরি, আরবি ভাষা কোর্সের শিক্ষক মাওলানা মোহাম্মদ আব্দুল খালেক আল আযহারি প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *