হাসিনা ও জয়ের ৩০ মিলিয়ন ডলার পাচারের তদন্ত করা হবে

0

সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও তার ছেলে সজীব ওয়াজেদ জয়ের বিরুদ্ধে ৩০ মিলিয়ন ডলার ডলার পাচারের অভিযোগ তদন্তের সিদ্ধান্ত নিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। রোববার দুদকের উপ-পরিচালক (জনসংযোগ) মো. আখতারুল ইসলাম এ সিদ্ধান্তের কথা জানান। এর আগে শেখ হাসিনা ও তার পরিবারের সদস্যদের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ তদন্তে পাঁচ সদস্যের একটি দল গঠন করে দুদক। আওয়ামী লীগ সরকারের আটটি বিশেষ অগ্রাধিকার প্রকল্পে শেখ হাসিনাসহ অন্যদের বিরুদ্ধে ২১ হাজার কোটি টাকার দুর্নীতির অভিযোগ তদন্ত করবে দলটি। রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র প্রকল্পে ৫৯ হাজার কোটি টাকার দুর্নীতির অভিযোগ তদন্ত করবে একই দল।

দুদকের মহাপরিচালক (প্রতিরোধ) আখতার হোসেন বলেন, এসব দুর্নীতির মামলায় শেখ হাসিনা, তার ছেলে সজীব ওয়াজেদ জয়, বোন শেখ রেহানা ও তার মেয়ে টিউলিপ সিদ্দিকের জড়িত থাকার বিষয়টি তদন্ত করবে কমিশন।

শেখ হাসিনা, তার ছেলে সজীব ওয়াজেদ জয় ও ভাতিজি টিউলিপ সিদ্দিকের বিরুদ্ধে মালয়েশিয়ার একটি ব্যাংকের মাধ্যমে রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র প্রকল্পের ৫ বিলিয়ন ডলার আত্মসাতের অভিযোগের তদন্তে দুদকের নিষ্ক্রিয়তা কেন হবে না, তা জানতে চেয়ে গত ১৫ ডিসেম্বর রুল জারি করেন হাইকোর্টের একটি বেঞ্চ। অবৈধ ঘোষণা করেছে। দুই দিন পর, দুদক অভিযোগ তদন্তের সিদ্ধান্ত ঘোষণা করে বলে যে, কমিশন আওয়ামী লীগ সরকারের আটটি বিশেষ অগ্রাধিকার প্রকল্পে ২১০০০ কোটি টাকার দুর্নীতির অভিযোগ পেয়েছে। এ ছাড়া রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র প্রকল্পে ৫৯ হাজার কোটি টাকার দুর্নীতির অভিযোগও পেয়েছে দুদকের কাছে।

প্রবল গণআন্দোলনে আওয়ামী লীগের ১৫ বছরের শাসনের অবসান ঘটিয়ে ৫ আগস্ট ভারতে পালিয়ে যান সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এ সময় তার সঙ্গে ছিলেন তার বোন শেখ রেহানাও। হাসিনার ছেলে সজীব ওয়াজেদ জয় যুক্তরাষ্ট্র প্রবাসী। তিনি দীর্ঘদিন প্রধানমন্ত্রীর তথ্যপ্রযুক্তি বিষয়ক উপদেষ্টা ছিলেন। আর রেহানার মেয়ে টিউলিপ যুক্তরাজ্যের সংসদ সদস্য। লেবার পার্টি ক্ষমতায় আসার পর তাকে যুক্তরাজ্য সরকারের ফিন্যান্সিয়াল সার্ভিসেস প্রতিমন্ত্রীর (সিটি মিনিস্টার) দায়িত্ব দেওয়া হয়। ছাত্র-জনতার আন্দোলন দমনে ‘গণহত্যাসহ মানবতাবিরোধী অপরাধ’ করার অভিযোগে হাসিনা, রেহানা ও জয়ের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল। এ ছাড়া আন্দোলনের সময় ডজন খানেক হত্যা মামলার আসামি রয়েছে তাদের।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *