ওসমানী বিমানবন্দরে কার্গো ফ্লাইট চালু হচ্ছে
হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর দিয়ে পণ্য রপ্তানি করতে সমস্যায় পড়েছেন ব্যবসায়ীরা। এগুলো মাথায় রেখে এবং শুল্ক রাজস্ব বৃদ্ধির লক্ষ্যে সিলেট ওসমানী বিমানবন্দর দিয়ে কার্গো রপ্তানির প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছে বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ (সিএএ)। কার্গো ফ্লাইট চালু হলে এই বিমানবন্দর দিয়ে পণ্য সরাসরি ইউরোপে যাবে। কিন্তু ব্যবসায়ীরা এগিয়ে না আসায় এখন পর্যন্ত রপ্তানি শুরু করা সম্ভব হয়নি। সংশ্লিষ্টরা বলছেন, অনেক ব্যবসায়ীও বিষয়টি অবগত নন। ওসমানী বিমানবন্দর থেকে রপ্তানি কার্গো চালুর বিষয়ে গত সপ্তাহে বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের সচিব নাসরীন জাহান সিলেট জেলা প্রশাসকসহ সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে বৈঠক করেন।
বৈঠকে পণ্য রপ্তানির জন্য দুটি একা্রপ্লোসিভ শনাক্তকরণ মেশিন নিশ্চিত করা হবে বলে জানানো হয়। একা্রপ্লোসিভ শনাক্তকারী কুকুর মোতায়েনের জন্য স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়কে চিঠি পাঠানো হয়েছে, একটি অকার্যকর এক্স-রে মেশিন দ্রুত সক্রিয় করতে হবে এবং নিরাপত্তা ও প্রশিক্ষণসহ সব প্রস্তুতি ২৪ ডিসেম্বরের মধ্যে শেষ করতে হবে বলে জানানো হয়।
ব্যবসায়ীদের অভিযোগ, শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর দিয়ে কার্গো রপ্তানি করতে সমস্যা হচ্ছে। এতে তারা আর্থিক ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছেন। অনেক টাকা দিয়েও তারা সময়মতো রপ্তানি করতে পারে না। শাহজালালে পর্যাপ্ত সুযোগ-সুবিধা না থাকায় দেশে ৮টি কার্গো এয়ারলাইন্স চলাচল করলেও রপ্তানিকারকরা পণ্যের একটি বড় অংশ সড়কপথে ভারতের বিমানবন্দরে প্রসেসিং ও চালানের জন্য পাঠায়। বাংলাদেশে কার্গো রপ্তানি ফিও অন্যান্য দেশের তুলনায় বেশি। তারা ফি কমানোর দাবি জানিয়েছেন।
সিলেট বিমানবন্দরের এক কর্মকর্তা বলেন, আমরা কার্গো রপ্তানির জন্য প্রস্তুত। একটি এক্স-রে মেশিন চালু আছে। ব্যবসায়ী ও ক্রেতারা চাইলে আজই রপ্তানি করা সম্ভব। বিষয়টি ব্যবসায়ীদের জানানো হচ্ছে।