বিএনপির স্থায়ী কমিটির পর্যালোচনা।ভারত বাংলাদেশকে সাম্প্রদায়িক রাষ্ট্র হিসেবে চিহ্নিত করতে চায়

0

বিএনপি মনে করে, ভারত বাংলাদেশকে একটি সাম্প্রদায়িক রাষ্ট্র হিসেবে বিশ্ব সম্প্রদায়ের কাছে পরিচিত করতে চায়। দলটির নেতারা মনে করেন, বাংলাদেশে ইসকনের কার্যক্রম এবং ভারত সরকারের বক্তব্য একই নীতির ওপর ভিত্তি করে। এটি পরিকল্পিত। ভারতের বক্তব্য ও কর্মকাণ্ড উসকানি দিচ্ছে। তারা সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা উসকে দিতে চায়। তারা দেশে এমন পরিস্থিতি তৈরি করতে চায় যাতে বাংলাদেশকে একটি সাম্প্রদায়িক রাষ্ট্র হিসেবে বিশ্বের সামনে তুলে ধরা যায়। এসব ঘটনার পেছনে পতনশীল ফ্যাসিবাদী আওয়ামী লীগ সরকারের হাত রয়েছে বলেও তারা মনে করেন।

গত সোমবার গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে দলের স্থায়ী কমিটির বৈঠকে দলের নেতাদের পর্যালোচনায় এ বিষয়টি উঠে আসে। আজ এক বিবৃতিতে মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, “আমি ভারতের উত্তর আগরতলায় অবস্থিত বাংলাদেশের সহকারী হাইকমিশনের চত্বরে উগ্রপন্থীদের হামলার তীব্র নিন্দা জানাই। সহকারী হাইকমিশনের চত্বরে হামলার ঘটনার তীব্র নিন্দা জানাই। ‘হিন্দু সংগ্রাম সমিতি’ নামের সংগঠনটি পূর্বপরিকল্পিতভাবে সহকারী হাইকমিশনে প্রবেশ করে, বাংলাদেশের পতাকা নামিয়ে আগুন ধরিয়ে দেয় এবং ভাঙচুর করে বলে ধারণা করা হচ্ছে ভিয়েনা কনভেনশনের সুস্পষ্ট লঙ্ঘন।”

বৈঠকে দলের নীতিনির্ধারকরা সম্মিলিত সনাতন জাগরণ মঞ্চের মুখপাত্র চিন্ময় কৃষ্ণ দাসকে গ্রেপ্তারের বিষয়ে ভারতের বক্তব্য ও কর্মকাণ্ডের সমালোচনা করেন। সাম্প্রতিক বেশ কিছু ঘটনার পর আগরতলায় বাংলাদেশের সহকারী হাইকমিশনে হামলার ঘটনায় উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন তারা। দলের নীতিনির্ধারকরা বলেছেন, ভারতের আচরণ কূটনৈতিক শিষ্টাচারের বাইরে। তারা অকারণে বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে হস্তক্ষেপ করছে।

দুই দেশের মধ্যে চলমান উন্নয়ন প্রসঙ্গে জাতীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য বেগম সেলিমা রহমান বলেন, গণমাধ্যমকে এক বিবৃতির মাধ্যমে দলের অবস্থান জানানো হয়েছে। দলের আরেক গুরুত্বপূর্ণ নেতা বলেন, দলের বক্তব্য বা সংবাদ সম্মেলন দেখে স্পর্শকাতর বিষয়ে দলের অবস্থান বোঝা উচিত। কিংবা দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান বা মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের বক্তব্য কিংবা বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভীর সংবাদ সম্মেলন।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক বিএনপির স্থায়ী কমিটির এক সদস্য বলেন, ভারতের ভেতরে অনেক ঘটনা ঘটেছে। সেখানে অনেক মুসলিম ধর্মীয় নেতাকে গ্রেফতার করা হয়। ভারতে সাম্প্রদায়িক দাঙ্গায় মুসলমানদের উপর অনেক অত্যাচার হয়েছিল। কিন্তু বাংলাদেশ কূটনৈতিক শিষ্টাচারের বাইরে গিয়ে বিষয়টি তাদের অভ্যন্তরীণ বিষয় বলে কোনো প্রতিক্রিয়া জানায়নি। তাহলে হঠাৎ করে বাংলাদেশ সম্পর্কে তাদের দৃষ্টিভঙ্গি এত বদলে গেল কেন?

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *