সমুদ্রবন্দরে ২ নম্বর হুঁশিয়ারি সংকেত
দক্ষিণ-পশ্চিম বঙ্গোপসাগরে অবস্থানরত গভীর নিম্নচাপটি আরও ঘনীভূত হয়ে ঘূর্ণিঝড় ‘ফিঞ্জল’-এ পরিণত হয়েছে। যার কারণে আজ শনিবার ও আগামীকাল রবিবার দেশের কোথাও কোথাও বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। এ ছাড়া সমুদ্রবন্দরগুলোকে দুই নম্বর দূরবর্তী সতর্ক সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে। আবহাওয়ার পূর্বাভাসে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
আবহাওয়ার সংক্ষিপ্তসার অনুযায়ী, দক্ষিণ-পশ্চিম বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন এলাকায় অবস্থানরত গভীর নিম্নচাপটি উত্তর-পশ্চিম দিকে অগ্রসর হয়ে ঘূর্ণিঝড় ‘ফিঞ্জল’-এ পরিণত হয়েছে। শুক্রবার বিকাল ৩টায় এটি একই এলাকায় (১১.০ ডিগ্রি উত্তর অক্ষাংশ এবং ৮২.২ ডিগ্রি পূর্ব দ্রাঘিমাংশ) অবস্থিত ছিল। এটি আরও উত্তর-পশ্চিম দিকে অগ্রসর হতে পারে এবং আজ দুপুরের মধ্যে উত্তর তামিলনাড়ু উপকূল অতিক্রম করতে পারে। তবে এর বিস্তৃতি উত্তর বঙ্গোপসাগর পর্যন্ত বিস্তৃত।
অন্যদিকে আবহাওয়া অধিদফতরের ঝড় সতর্কীকরণ কেন্দ্রের এক বিশেষ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, মংলা ও পায়রা সমুদ্রবন্দরকে এক নম্বর দূরবর্তী সতর্ক সংকেত নামিয়ে তার পরিবর্তে দুই নম্বর দূরবর্তী সতর্ক সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে। উত্তর বঙ্গোপসাগর ও গভীর সাগরে অবস্থানরত সব মাছ ধরার নৌকা ও ট্রলারকে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত উপকূলের কাছাকাছি থেকে সাবধানে চলাচল করতে বলা হয়েছে।
আবহাওয়ার পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে খুলনা, বরিশাল ও চট্টগ্রাম বিভাগের দু-এক জায়গায় হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টি হতে পারে। এ ছাড়া দেশের অন্যান্য এলাকার আবহাওয়া প্রধানত শুষ্ক থাকতে পারে। এ সময় সারাদেশে রাতের তাপমাত্রা সামান্য বৃদ্ধি পেতে পারে এবং দিনের তাপমাত্রা ১-২ ডিগ্রি সেলসিয়াস কমতে পারে।
রোববার খুলনা, বরিশাল বিভাগের দু-এক জায়গায় হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টি হতে পারে। এ ছাড়া দেশের অন্যান্য এলাকার আবহাওয়া প্রধানত শুষ্ক থাকতে পারে। দিন ও রাতের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে।
সোমবার সারাদেশের আবহাওয়া প্রধানত শুষ্ক থাকতে পারে। গভীর রাত থেকে ভোর পর্যন্ত সারাদেশের কোথাও কোথাও হালকা থেকে মাঝারি ধরনের কুয়াশা পড়তে পারে। সারাদেশে দিন ও রাতের তাপমাত্রা সামান্য পরিবর্তন হতে পারে।
এ ছাড়া পাঁচ দিনের বর্ধিত পূর্বাভাসে রাত ও দিনের তাপমাত্রা ধীরে ধীরে কমতে পারে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদফতর।