ইসরাইল-হিজবুল্লাহ যুদ্ধবিরতি কার্যকর, মার্কিন-যুক্তরাজ্য প্রতিক্রিয়া

0

ইসরায়েল ও লেবাননের সশস্ত্র গোষ্ঠী হিজবুল্লাহর মধ্যে যুদ্ধবিরতিকে স্বাগত জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্য। মঙ্গলবার ইসরায়েলের মন্ত্রিসভা যুদ্ধবিরতি চুক্তি অনুমোদন করেছে। চুক্তি স্বাক্ষরের পর ইসরায়েলের দুই ঘনিষ্ঠ মিত্র পৃথক বিবৃতিতে একে স্বাগত জানিয়েছে।

বুধবার থেকে ইসরায়েল ও হিজবুল্লাহর মধ্যে যুদ্ধবিরতি কার্যকর হয়েছে। এর ফলে এক বছরেরও বেশি সময় ধরে চলমান রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষের অবসান ঘটে।

এদিকে, মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন যুদ্ধবিরতিকে ‘সুসংবাদ’ বলেছেন। তিনি বলেন, “এই চুক্তির লক্ষ্য হল ‘স্থায়ীভাবে শত্রুতা বন্ধ করা’। লেবাননের সেনাবাহিনী আগামী ৬০ দিনের মধ্যে ‘নিজস্ব এলাকা’ নিয়ন্ত্রণে নেবে।”

এই বিবৃতির পাশাপাশি, বাইডেন সতর্ক করে দিয়েছেন, ”যদি চুক্তি লঙ্ঘন করা হয়, ইসরায়েল ‘আত্মরক্ষার অধিকার প্রয়োগ করবে।’

অন্যদিকে, ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী কিয়ার স্টারমার বলেছেন, ”ইসরায়েল ও হিজবুল্লাহর মধ্যে যুদ্ধবিরতি বেসামরিক জনগণকে কিছুটা স্বস্তি দেবে।”

তারপরে তিনি “দীর্ঘদিনের” শত্রুতা বন্ধ করার প্রশংসা করেন। তিনি যুদ্ধবিরতিকে “লেবাননে একটি স্থায়ী রাজনৈতিক সমাধানে রূপান্তরিত করার” আহ্বান জানিয়েছেন।

কেয়ার স্টারমারও গাজায় যুদ্ধবিরতি কার্যকর করার আহ্বান জানিয়েছেন। তিনি সোশ্যাল মিডিয়া এক্স-এ লিখেছেন, ”আমাদের অবশ্যই গাজায় একটি যুদ্ধবিরতি চুক্তির দিকে যেতে হবে। সমস্ত জিম্মিকে মুক্তি দিতে হবে এবং প্রয়োজনীয় মানবিক সহায়তার উপর থেকে নিষেধাজ্ঞা তুলে নিতে হবে।

হিজবুল্লাহ ও লেবাননের সরকার গত সপ্তাহে যুক্তরাষ্ট্রের দেওয়া একটি প্রস্তাব গ্রহণ করেছে। এদিকে, ২৪ নভেম্বর, রবিবার রাতে উচ্চ পর্যায়ের বৈঠকের পর ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু এই প্রস্তাবে সম্মত হয়েছেন।

এরপর, নেতানিয়াহু যুদ্ধবিরতি নিয়ে আলোচনার জন্য মঙ্গলবার মন্ত্রিসভার বৈঠক ডাকেন। মন্ত্রিসভা বৈঠকে যুদ্ধবিরতি চুক্তির অনুমোদন দিয়েছে। বৈঠকের পর ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহু জাতির উদ্দেশে দেওয়া ভাষণে বলেন, ‘আমরা চুক্তি বাস্তবায়ন করব। তবে চুক্তির কোনো লঙ্ঘন হলে আমরা জোর জবাব দেব।’

ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, ‘আমরা যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে পূর্ণ সমন্বয় সাপেক্ষে সামরিক তৎপরতা বন্ধ করব। “কিন্তু যদি হিজবুল্লাহ চুক্তি লঙ্ঘন করে বা আবার নিজেকে সশস্ত্র করার চেষ্টা করে, আমরা হামলা করব।”

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *