জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট মামলায় খালেদা জিয়ার ৭ বছরের সাজা বাতিল

0

জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার সাত বছরের সাজার বিরুদ্ধে আপিলের অনুমতি দিয়েছেন হাইকোর্ট। বুধবার (২৭ নভেম্বর) বিচারপতি একেএম আসাদুজ্জামান ও বিচারপতি সৈয়দ এনায়েত হোসেনের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এ রায় দেন।

Description of image

আদালতে আপিলের শুনানি করেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী জয়নুল আবেদীন ও আইনজীবী ব্যারিস্টার কায়সার কামাল। দুদকের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী আসিফ হাসান। পরে আসিফ হাসান বলেন, বেগম খালেদা জিয়াসহ তিনজনের আপিল মঞ্জুর করেছেন আদালত। ফলে তাদের সাজা বাতিল করা হয় এবং তারা খালাস পান।

২০ নভেম্বর আপিলের ওপর শুনানি শুরু হয়। এর আগে ৩ নভেম্বর আপিল শুনানির জন্য পেপার বুক (কেস সামারি) তৈরির অনুমতি নেওয়া হয়েছিল।

ওই দিন আইনজীবী জয়নুল আবেদীন ও কায়সার কামাল বলেন, এ মামলায় বিএনপি চেয়ারপারসনের সাজা কমানো হয়েছে। কেন আপিল শুনানি হয়? আমরা বলেছি, তিনি (খালেদা জিয়া) আইনকে সম্মান করেন। রাষ্ট্রপতি মওকুফ করেছেন। সেখানে ক্ষমার কথা আছে। খালেদা জিয়া ক্ষমার প্রতি বিশ্বাসী নন। সে কোন অপরাধ করেনি। সে ক্ষমাও চায়নি। তাই আইনগতভাবে মোকাবিলা করার জন্য আইনজীবীদের নির্দেশ দেন তিনি।

২৯ অক্টোবর ২০১৮ তারিখে পুরান ঢাকার কেন্দ্রীয় কারাগারের প্রশাসনিক ভবনের সাত নম্বর কক্ষে স্থাপিত ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৫ এর বিচারক মোঃ আখতারুজ্জামান (বর্তমানে হাইকোর্ট বিভাগের বিচারক) খালেদা জিয়াকে সাতজনের সাজা দেন। জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট মামলায় বছরের সশ্রম কারাদণ্ড।

একইসঙ্গে তাকে ১০ লাখ টাকা জরিমানা এবং অনাদায়ে আরও ছয় মাসের কারাদণ্ড দেওয়া হয়। একই সাজা দেওয়া হয়েছে মামলার অপর তিন আসামিকে।

দণ্ডপ্রাপ্ত অন্য তিন আসামি হলেন- সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার তৎকালীন রাজনৈতিক সচিব হারিছ চৌধুরী (মৃত), হারিছ চৌধুরীর তৎকালীন একান্ত সচিব জিয়াউল ইসলাম মুন্না এবং অবিভক্ত ঢাকা সিটি করপোরেশনের সাবেক মেয়র মরহুম সাদেক হোসেনের একান্ত সচিব মনিরুল ইসলাম খান। খোকা। এ সময় হারিছ চৌধুরী পলাতক ছিলেন। বাকি আসামিরা হাইকোর্টে আপিল করেন।

২০১০ সালের ৮ আগস্ট জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্টের বিরুদ্ধে তেজগাঁও থানায় মামলা হয়। ট্রাস্টের নামে অবৈধভাবে ৩ কোটি ১৫ লাখ ৪৩ হাজার টাকা লেনদেনের অভিযোগে মামলাটি করে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। তদন্ত শেষে ২০১২ সালে খালেদা জিয়াসহ চারজনের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করে দুদক।

২০১৪ সালের ১৯ মার্চ খালেদাসহ চারজনের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেন আদালত। সাক্ষ্যগ্রহণ শেষ হলে দুদক মামলায় যুক্তিতর্ক উপস্থাপন করে এবং ২০১৮ সালের ১৯ অক্টোবর রায় ঘোষণা করে।

মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।