নাহিদ ইসলামকে নিয়ে যা বললেন হাসনাত আবদুল্লাহ
সরকার বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ পদে নিয়োগের সুপারিশ করেছে বলে অভিযোগ করেছেন অনেকেই তথ্য ও সম্প্রচার উপদেষ্টা ড.নাহিদ ইসলামের সমালোচনা করছেন। আবারও জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) শিক্ষার্থীরা তাদের আন্দোলনকে নাহিদবিরোধী স্ট্যাটাস। তবে হাজারো শিক্ষার্থী নাহিদের পক্ষে অবস্থান নিয়েছে। নাহিদ ইসলামের নামে বিভিন্ন ভুল তথ্য ও গুজবের প্রতিবাদে তারা লাল রঙের পটভূমিতে ‘আমরা নাহিদ’ হ্যাশট্যাগ দিচ্ছে।
অনেকের মতো বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের আহ্বায়ক হাসনাত আবদুল্লাহও নাহিদ ইসলামের পক্ষে স্ট্যাটাস দেন। ছাত্র-জনতার আন্দোলনের সময় নির্যাতিত নাহিদ ইসলামের ছবি পোস্ট করে তিনি লিখেছেন, ‘বাংলাদেশের চিত্র গত ১৬ বছর এমনই ছিল। যারা হাসিনাকে পুনর্বাসনে সহায়তা করছেন তারা রক্তপাত, জোরপূর্বক গুম ও খুনের মতো পুরনো অবস্থায় দেশকে ফিরিয়ে নিতে চান। হাসিনা শাসনের পুনর্বাসনে সমর্থন করা শেষ পর্যন্ত একই বিপর্যয়কর পরিণতির দিকে নিয়ে যাবে।
এর আগে জুলাই শহীদ স্মৃতি ফাউন্ডেশনের সাধারণ সম্পাদক সারজিস আলমও নাহিদের সমর্থনে পোস্ট দেন। তিনি লিখেছেন, ‘জীবন দিতে প্রস্তুত রাজপথে নেমে এলেন নাহিদ আসিফ।’ ডিজিএফআই, ডিবির নির্মম নির্যাতন, কিছুই তাদের নাড়াতে পারেনি হাসনাত ৩ মাস আগে বলেছিলেন “আমরা মৃত্যুর জন্য উন্মুক্ত”। মাহিন সরকার, আবু বকর মজুমদার, রিফাত রশিদ, হান্নান মাসুদের ভয় দেখিয়ে লাভ নেই। শেখ হাসিনার গোটা শাসনের ভয় তাদের লক্ষ্য থেকে সরাতে পারেনি।
তিনি আরও লিখেছেন, ‘আমি বুঝতে পারছি জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের স্লোগান ছিল তাদের আগের দুর্নীতিবাজ ব্যবস্থা নিয়ে। সহযোদ্ধাদের মধ্যে যে গর্ব থাকতে পারে তাতে কোনো সমস্যা নেই। আমরা বিশ্বাস করি যে ন্যায়ের জন্য রাজপথের লড়াই মিনিটের মধ্যে আমাদের ঐক্যকে আবার শক্তিশালী করবে। যখনই কোনো সংকট আসে, আমার এই কমরেডরা মাইলের পর মাইল ছুটে এসেছেন। কিন্তু তাদের কাউকে এজেন্ট হিসেবে জিজ্ঞাসাবাদ করার নোংরা চেষ্টা করা হলে তা কখনোই সফল হবে না। এই বন্ধন ঠিক সেভাবে গঠিত হয়নি। হাত ধরে, রাস্তায় ঘাম ঝরিয়ে, রক্ত ঝরায়, জীবনের মায়া ত্যাগ করে একসঙ্গে লড়াই করে এই বন্ধন গড়ে উঠেছে। সাবধান!