সন্তানের জন্ম সনদ পেতে বাবা-মায়ের ‘পুনর্জন্ম’

0

জন্ম ও মৃত্যু সনদ পেতে সেবাগ্রহীতাদের ভোগান্তির শেষ নেই। বিশেষ করে সন্তানের জন্ম শংসাপত্র নেওয়ার সময় বাবা-মাকে পুনরায় ‘পুনর্জন্ম’ নিতে হচ্ছে। এই পরিস্থিতি মূলত জটিল নিয়ম এবং সার্ভার জটিলতার কারণে। সারা দেশে চরম হয়রানির শিকার হচ্ছেন সেবা সেবাগ্রহীতারা।

জানা গেছে, ২০২১ সালের ১ জানুয়ারি থেকে ২০০১ সালের পর জন্ম নেওয়া শিশুদের জন্য পিতামাতার জন্ম সনদ বাধ্যতামূলক করে বিগত আওয়ামী লীগ সরকার । এখানেই শেষ নয়। বাবা-মায়ের সার্টিফিকেট নিতে গেলেও তার বাবা-মায়েরও সার্টিফিকেট লাগে। এই বৃত্তাকারে ঘুরতে গিয়ে দিশেহারা হয়ে পড়েন সেবাগ্রহীতারা। কারণ কয়েকদিনের মধ্যেই শুরু হবে নতুন শিক্ষাবর্ষ। নতুন শিক্ষাবর্ষ মানেই ছোট সোনামণিদের স্কুলে ভর্তি। কারণ মা-বাবার জন্ম সনদ অনলাইনে না থাকলে সন্তানের সনদ নেওয়া যাবে না। অভিভাবকদের জাতীয় পরিচয়পত্র থাকলেও এ ক্ষেত্রে তা কাজে লাগে না।

পিতা-মাতার জন্ম সনদ বাধ্যতামূলক করার কারণ জানতে চাইলে বলা হয়, বংশপরিচয় ও পারিবারিক ধারাবাহিকতার ধারণার সমন্বয় ঘটাতে তৎকালীন সরকার এ উদ্যোগ নিয়েছিল। সম্পদের উত্তরাধিকার সঠিকভাবে নির্ধারণ করা যায় সেই বিবেচনায় এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এতে যে ভালো উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে, তার চেয়ে কয়েকগুণ বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন সেবাগ্রহীতারা। অনেকের বাবা-মা মারা যাওয়ায় জন্ম সনদ পাওয়ার জন্য প্রয়োজনীয় তথ্য দিতে পারে না।

জন্ম সনদ কেন গুরুত্বপূর্ণ: যেকোনো শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে শিশুকে ভর্তির জন্য জন্মনিবন্ধন সনদ বাধ্যতামূলক। তাছাড়া নতুন পাসপোর্ট ইস্যু, বিবাহ নিবন্ধন, সরকারি-বেসরকারি বা স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠানে চাকরি, চালকের লাইসেন্স ইস্যু, ভোটার তালিকা প্রণয়ন, জমি নিবন্ধন, জাতীয় পরিচয়পত্র, জীবন বীমা পলিসিসহ প্রায় ১৮ ধরনের নাগরিক সেবা পাওয়া যায় জন্ম সনদে।

কেন মৃত্যু শংসাপত্র গুরুত্বপূর্ণ: উত্তরাধিকার শংসাপত্র, পারিবারিক পেনশনের রশিদ, মৃত ব্যক্তির জীবন বীমা দাবি, নিবন্ধন এবং জমার রসিদ এবং অন্যান্য অনেক পরিষেবা মৃত্যু শংসাপত্রের উপর নির্ভর করে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *