রাজশাহীতে সাবেক ছাত্রলীগ নেতাকে পিটিয়ে হত্যা, যা বললেন জয়
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ছাত্র আবদুল্লাহ আল মাসুদ হত্যার সঙ্গে জড়িতদের গ্রেফতার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানিয়েছেন সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনার ছেলে সজিব ওয়াজেদ জয়।
সোমবার তার ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে এ দাবি করে একটি পোস্ট করেন তিনি।
যুক্তরাষ্ট্র প্রবাসী জয় তার স্ট্যাটাস দাবি করে বলেন, ‘জামাত-শিবির ২০১৪ সালে তার একটি পা কেটে ফেলে। তারপর বাকি হাত ও পায়ের রগও কেটে দেওয়া হয়। আবদুল্লাহ আল মাসুদ ১০ বছর ধরে পঙ্গু জীবন যাপন করছিলেন। ৩ সেপ্টেম্বর এক কন্যা সন্তানের বাবা হন তিনি।
জয় আরও বলেন, ‘মাসুদ তার মেয়ের ওষুধ আনতে রাজশাহীতে বাড়ির পাশের ফার্মেসিতে গিয়েছিলেন। আর সেখানেই জামায়াত-শিবিরের সন্ত্রাসীদের হাতে নির্মমভাবে নিহত হন তিনি। মৃত্যুর সময় তিনি এক ফোঁটা পানি চেয়েছিলেন, কিন্তু তারা তা দেননি। “আমার চার দিনের বাচ্চা আছে,” কাকুতি অনুনয় করে। কিছুই তাদের মন গলতে পারেনি। কারণ মাসুদ ছাত্রলীগের রাজনীতি করতেন।
জয় বলেন “ক্যাম্প ক্যাডার এবং রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের সমন্বয়কারী সালাহউদ্দিন আম্মার এই হত্যার নেতৃত্ব দিয়েছেন,” ।
এর আগে গত শনিবার রাতে শিশুসন্তানদের জন্য ওষুধ কিনতে বিশ্ববিদ্যালয়-সংলগ্ন শহরের বিনোদপুর এলাকায় যান আবদুল্লাহ আল মাসুদ। গত ৫ আগস্ট শিক্ষার্থীদের ওপর হামলার অভিযোগে মাসুদের ওপর হামলা হয়। পরে একদল ছাত্র তাকে প্রথমে মতিহার থানায় নিয়ে যায়। কিন্তু মতিহার থানায় ৫ আগস্ট সহিংসতার কোনো মামলা নেই । তাই বোয়ালিয়াকে থানায় আনা হয়, যেন সহিংসতার মামলায় গ্রেপ্তার দেখানোর জন্য। তবে তার শারীরিক অবস্থা গুরুতর হওয়ায় সেনাবাহিনীর সহায়তায় তাকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখানেই তার মৃত্যু হয়।
মাসুদের গ্রামের বাড়ি চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলার শিবগঞ্জ উপজেলায়। বাবা নেই, মা শয্যাশায়ী।