আজ খুলছে আশুলিয়ার পোশাক কারখানাগুলো
অবশেষে খুলতে যাচ্ছে আশুলিয়ায় পোশাক কারখানা।
আজ শনিবার কারখানা খোলার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন পোশাক শিল্প মালিক সমিতি বিজিএমইএর নেতারা।
আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর পাশাপাশি শ্রমিক নেতা ও স্থানীয় রাজনীতিবিদদের কাছ থেকে আশ্বাস পেয়ে তারা এ সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।
ব্যাপক শ্রমিক বিক্ষোভ ও চলমান অস্থিরতার পরিপ্রেক্ষিতে গতকাল শুক্রবার বিজিএমইএ কার্যালয়ে শিল্প মালিক, স্থানীয় রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ, বিভিন্ন সংগঠনের শ্রমিক নেতা এবং আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যদের সঙ্গে মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়।
বিজিএমইএ সভাপতি খন্দকার রফিকুল ইসলামের সভাপতিত্বে এ সভায় সিনিয়র সহ-সভাপতি আবদুল্লাহ হিল রাকিব, শ্রমিক নেতা মন্টু ঘোষ, নাজমা আক্তার প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
বৈঠক প্রসঙ্গে বিজিএমইএর সিনিয়র সহ-সভাপতি আবদুল্লাহ হিল রাকিব বলেন, কারখানা চালু রাখতে সব দল একমত হয়েছে। তারা বলেন, শিল্প বন্ধ করার দরকার নেই। উৎপাদন না হলে দেশের অর্থনীতি ক্ষতিগ্রস্ত হবে। ব্যবসাও অন্যত্র চলে যাওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।
তিনি বলেন, “শ্রমিক নেতারা সাধারণ শ্রমিকদের কাজে ফিরে আসার আহ্বান জানিয়েছেন। কোনো দাবি থাকলে মালিককে লিখিতভাবে জানাতে বলা হয়েছে। অন্যদিকে বর্তমান পরিস্থিতিতে স্থানীয় রাজনৈতিক নেতারা ঝুট ব্যবসা থেকে বিরত থাকার আশ্বাস দিয়েছেন।
এদিকে বেতন-ভাতা নিয়ে আশুলিয়ায় আল মুসলিম ও নাসা গ্রুপের কর্মীদের মধ্যে ক্ষোভ রয়েছে বলে জানা গেছে। এ দুই গ্রুপের শ্রমিকরাও তাদের দাবি আদায়ে কয়েকদিন ধর্মঘট পালন করে। এ বিষয়ে বিজিএমইএর সিনিয়র সহ-সভাপতি আবদুল্লাহ হিল রাকিব বলেন, আমরা উভয় গ্রুপের মালিকদের সঙ্গে কথা বলেছি। তারা শ্রমিকদের বকেয়া পরিশোধের আশ্বাস দিয়েছেন।
উল্লেখ্য, দুই সপ্তাহ ধরে গাজীপুর ও আশুলিয়ার ওষুধ ও তৈরি পোশাক শিল্পে শ্রমিক বিক্ষোভ চলছিল। ছাঁটাইকৃত শ্রমিকদের অনেকেই শ্রমিকদের সাথে এই বিক্ষোভে অংশ নেন।
এরই মধ্যে সকালে বিক্ষুব্ধ শ্রমিকরা কয়েকটি কারখানায় হামলা ও ভাঙচুর চালায়। আহত হয়েছেন অন্তত ৩৫ জন। দুপুরের পর অধিকাংশ কারখানা বন্ধ হয়ে যায়। এদিন সব মিলিয়ে ১২৯টি পোশাক কারখানার উৎপাদন ব্যাহত হয়।