শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে হত্যা মামলা নেওয়ার নির্দেশ

0

আওয়ামী লীগ সভাপতি ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও দলের মহাসচিব ওবায়দুল কাদেরসহ ৭ জনের বিরুদ্ধে হত্যা মামলার আবেদন মামলা হিসেবে গ্রহণ করার নির্দেশ দিয়েছেন আদালত। কোটা সংস্কার আন্দোলনের সময় মোহাম্মদপুরে পুলিশের গুলিতে মুদি দোকানদার আবু সায়েদের নিহত হওয়ার ঘটনায় ঢাকা মহানগর হাকিম রাজেশ চৌধুরীর আদালতে মামলাটির আপিল করেন তার শুভাকাঙ্ক্ষী আমির হামজা।

শুনানি শেষে আদালত মোহাম্মদপুর থানাকে হত্যা মামলা হিসেবে নেওয়ার নির্দেশ দেন। বাদীর আইনজীবী মামুন মিয়া এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

মামলার অন্য আসামিরা হলেন- সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল, পুলিশের সাবেক মহাপরিদর্শক (আইজিপি) আবদুল্লাহ আল-মামুন, ডিএমপি কমিশনার হাবিবুর রহমান, ডিএমপির অতিরিক্ত কমিশনার হারুন-অর-রশিদ ও অতিরিক্ত যুগ্ম পুলিশ কমিশনার বিপ্লব কুমার। এ ছাড়া মামলায় আওয়ামী লীগের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাসহ অজ্ঞাত আরও অনেক নেতা-কর্মীকে আসামি করা হয়েছে।

মামলার অভিযোগে উল্লেখ করা হয়, গত ১৯ জুলাই বিকেল ৪টায় মোহাম্মদপুর থানার বাচিলা ৪০ ফুট মোড়ে কোটা আন্দোলনের সমর্থনে মিছিলে পুলিশের গুলিতে আবু সৈয়দ নিহত হন।

অভিযোগে বলা হয়, গত ১৯ জুলাই বিকেল ৪টায় মোহাম্মদপুর থানাধীন বসিলা ৪০ ফুট মোড়ে জনতা কোটা সংস্কার আন্দোলনের সমর্থনে হাজার হাজার শিক্ষার্থী মিছিল করছিল। বিক্ষোভ দমন করতে পুলিশ বিক্ষোভকারীদের ওপর নির্বিচারে গুলি চালায়। এ সময় মোহাম্মদপুর বসিলা ৪০ ফুট মোড়ে রাস্তা পার হচ্ছিলেন মুদি দোকানদার আবু সৈয়দ (৪৫)। পুলিশের গুলিতে আবু সাইদ ঘটনাস্থলেই মারা যান। গুলি তার মাথার এক পাশ দিয়ে ঢুকে অন্যদিক দিয়ে বেরিয়ে যায়। পরে স্থানীয় লোকজন আবু সাঈদের মরদেহ পঞ্চগড় জেলার বোদা উপজেলার মারওয়া বামনহাট ইউনিয়নের নতুন বস্তিতে প্রধানহাটে পাঠায় এবং সেখানে তাকে দাফন করা হয়।

মামলায় বলা হয়, নিহত আবু সৈয়দের গ্রামের বাড়ি পঞ্চগড় জেলার সুদুর প্রত্যন্ত এলাকায় হওয়ায় তার পরিবার খুবই দরিদ্র। তাই তারা আইনের আশ্রয় নিতে পারছে না। এ কারণে একজন সচেতন নাগরিক হিসেবে এ মামলার বাদী আপিল করেছেন।

মামলার অভিযোগে আরও বলা হয়, শিক্ষার্থীদের ন্যায্য ও যুক্তিসঙ্গত দাবি ও কোটা সংস্কার আন্দোলন শান্তিপূর্ণভাবে চলছিল। কোনো উসকানি ছাড়াই আসামিদের নির্দেশে মিছিলে গুলি চালাচ্ছিল অজ্ঞাতপরিচয় পুলিশ সদস্যরা। কঠোর হাতে আন্দোলন দমনের নির্দেশ দেন সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও সাবেক সেতুমন্ত্রী অন্য আসামিরা তাদের অধস্তন পুলিশ সদস্যদের শিক্ষার্থীদের আন্দোলন দমন করার নির্দেশ দেন। ছাত্র মিছিলে পুলিশকে গুলি করার নির্দেশ দেন আসামি আসাদুজ্জামান কামাল।

মামলার পর বাদী বলেন, তিনি কোনো রাজনৈতিক দলের সঙ্গে যুক্ত নন। মৃত আবু সৈয়দের গ্রামের বাড়ি সুদুর পঞ্চগড় জেলার প্রত্যন্ত এলাকায় এবং তার পরিবার খুবই দরিদ্র। এ বিষয়ে ব্যবস্থা নেওয়ার ক্ষমতা না থাকায় তিনানের সমর্থনে চলমান মিছিলে পুলিশের গুলিতে নিহত হন তারা।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *