আপিল বিভাগের আদেশ খারিজ,আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা শিক্ষার্থীদের
মুক্তিযোদ্ধা কোটা ইস্যুতে হাইকোর্টের রায়ে আপিল বিভাগের স্থিতাবস্থা প্রত্যাখ্যান করেছেন শিক্ষার্থীরা। তারা আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দেন।
বুধবার বিকেলে রাজধানীর সায়েন্সল্যাব মোড় অবরোধকারী শিক্ষার্থীদের পক্ষে ঢাকা কলেজ শাখার বৈষম্য বিরোধী আন্দোলনের সমন্বয়ক নাজমুল হাসান এ ঘোষণা দেন।
তিনি বলেন, “আমরা একটি স্থায়ী সমাধান চাই। কোটা নিয়ে বারবার তর্ক-বিতর্ক দেখতে চাই না। সব গ্রেডে অযৌক্তিক ও বৈষম্যমূলক কোটা বাতিলের জন্য সংসদে আইন পাস করতে হবে এবং পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠীর জন্য কোটা ন্যূনতম স্তরে নামিয়ে আনতে হবে।
তিনি আরও বলেন, ‘আমরা পড়ার টেবিলে ফিরে যেতে চাই। দাবি না মানা পর্যন্ত আন্দোলন চলবে।
আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা বলেছেন, কোটা সংস্কার নিয়ে আদালত নয় নির্বাহী বিভাগের সিদ্ধান্ত চান।
হাইকোর্টের রায়ের ওপর আপিল বিভাগ চার সপ্তাহের স্থগিতাদেশ দেওয়ার পর প্রতিক্রিয়া জানতে চাইলে ‘বৈষম্য বিরোধী’ ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক নাহিদ ইসলাম বলেন, ‘আপনারা (সাংবাদিকরা) অপেক্ষা করুন’। আমরা আপনাকে বিস্তারিত জানাব। আদালতে কী হয়েছে তার বিস্তারিত আমি এখনও জানি না। তবে এতটুকু বলতে চাই, কোটা সংস্কার নিয়ে আদালতের নয় নির্বাহী বিভাগের সিদ্ধান্ত চাই।
উল্লেখ্য, বুধবার সরকারি চাকরিতে প্রথম ও দ্বিতীয় শ্রেণিতে মুক্তিযোদ্ধা কোটা পদ্ধতি বাতিলের সিদ্ধান্তকে অবৈধ ঘোষণা করে হাইকোর্টের দেওয়া রায়ের ওপর চার সপ্তাহের স্থগিতাদেশ দিয়েছেন আপিল বিভাগ। একই সঙ্গে হাইকোর্টের রায়ের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রপক্ষ ও শিক্ষার্থীদের আপিল করতে বলেছেন আদালত। এ বিষয়ে পরবর্তী শুনানির জন্য ৭ আগস্ট দিন ধার্য করা হয়েছে।
প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসানের নেতৃত্বে পাঁচ বিচারপতির আপিল বেঞ্চ এ আদেশ দেন। এই আদেশের ফলে ২০১৮ সালে সরকার মুক্তিযোদ্ধা কোটা বাতিল করে সার্কুলার জারি করেছে বলে জানিয়েছেন আইনজীবীরা।