কর্মসূচি দিয়ে শাহবাগ ছাড়লেন শিক্ষার্থীরা
কোটা বাতিল করে ২০১৮ সালে দেওয়া প্রজ্ঞাপন পুনর্বহালের দাবিতে দ্বিতীয় দিনের মতো রাজধানীর শাহবাগ সড়ক অবরোধ করেছে শিক্ষার্থীরা। আজ বুধবার বিকেলে দেড় ঘণ্টা অবরোধের পর নতুন কর্মসূচি দেন তারা।
শাহবাগ মোড়ে নতুন কর্মসূচি ঘোষণা করেন বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক নাহিদ ইসলাম। একই দাবিতে আগামীকাল বৃহস্পতিবার সকাল ১১টায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগারের সামনে অবস্থান নেবেন শিক্ষার্থীরা।
নাহিদ ইসলাম বলেন, আমরা স্পষ্ট করে বলতে চাই, আগামীকাল (বৃহস্পতিবার) হাইকোর্টের আপিল বিভাগে কোটা সংক্রান্ত শুনানি অনুষ্ঠিত হবে। আমরা আশা করছি শুনানি শিক্ষার্থীদের পক্ষে হবে। আমরা যে চারটি পয়েন্ট দিয়েছি তার প্রথমটি আগামীকালের মধ্যে পূরণ করতে হবে। প্রথম পর্বের শেষে, আমাদের পর্যায়ক্রমে বাকিগুলি ভরা হয়।
বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক আরও বলেন, গত ৫ জুন হাইকোর্টের রায়ের পর থেকে আমাদের আন্দোলন চলছে। আমরা মাঝখানে আল্টিমেটাম দিয়েছি, কিন্তু কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। তাই আবারও রাজপথে নামতে হয়েছে।
আগামীকালের কর্মসূচি সম্পর্কে নাহিদ ইসলাম বলেন, ‘আগামীকাল বেলা ১১টায় আমরা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগারের সামনে অবস্থান নেব এবং রায় আমাদের পক্ষে না আসা পর্যন্ত আন্দোলন চালিয়ে যাব এবং আমাদের প্রথম দফা বাস্তবায়ন হবে।’
আজ বিকেল ৩টা ৪০ মিনিট থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত শাহবাগ মোড় অবরোধ করে রাখে শিক্ষার্থীরা। এ সময় যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। এর আগে দুপুর আড়াইটায় ঢাবির কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগারের সামনে অবস্থান নেন আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা। সেখান থেকে বিক্ষোভ মিছিলটি বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসের বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে মৎস্য ভবন হয়ে শাহবাগে যায়। এ সময় শাহবাগ মোড়ে পুলিশ সদস্যদের অবস্থান নিতে দেখা যায়।
আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা বলেন, ‘কোটা নয় মেধা, মেধা মেধা’, ‘সমঝোতা নয় সংগ্রাম, সংগ্রাম সংগ্রাম’, ‘১৮ সালের সার্কুলার পুনর্বহাল করতে হবে’, ‘কোটা প্রথা বাতিল হোক, মেধাবীদের মুক্তি দেওয়া হোক’, ‘সংবাদ দাও’। গোটা বাংলার উদ্দেশে, কোটা প্রথাকে পুঁতে ফেলো, ‘আমার সোনার বাংলা, বৈষম্যের জায়গা নেই’ এবং ‘জেগেছে রে জেগেছে, ছাত্রসমাজ জেগেছে’ স্লোগান দেয়।
এর আগে মঙ্গলবার বিকেল সোয়া ৪টার দিকে শাহবাগ মোড় অবরোধ করেন শিক্ষার্থীরা। পরে বিকেল সাড়ে ৫টায় তারা অবরোধ তুলে নেয়।