করোনার প্রাদুর্ভাব বাড়লে স্কুল চালু রাখা সম্ভব হবে না

0

করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাব বাড়লে স্কুল খুলতে দেওয়া হবে না বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

এ বিষয়ে প্রস্তুতি নিতে শিক্ষা মন্ত্রণালয়কে নির্দেশ দিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ” করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাব বাড়লে স্কুলগুলো চালু রাখা সম্ভব হবে না। সেজন্য অনলাইন শিক্ষা যাতে প্রতিটি ঘরে পৌঁছে যায়, তার ব্যবস্থা করতে হবে।

 অনলাইনে শিক্ষা কার্যক্রম চালু রাখতে শিক্ষার্থীদের ‘যা যা প্রয়োজন’ প্রদান করতে শিক্ষা মন্ত্রণালয়কে নির্দেশ দেন তিনি। বৃহস্পতিবার গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষার ফল প্রকাশ এবং প্রাথমিক ও মাধ্যমিকের বই বিতরণ কর্মসূচির উদ্বোধনকালে তিনি এ কথা বলেন। প্রধানমন্ত্রী বলেন, “আমাদের অনলাইন শিক্ষা অব্যাহত রাখতে হবে। কারণ করোনা কখনো বাড়ছে, কখনো কমছে। আমরা সবসময় লক্ষ্য করেছি, এই শীতে আবারও এই রোগের প্রকোপ বাড়তে পারে।’ নতুন ধরনের করোনাভাইরাস ওমিক্রন দ্রুত ছড়িয়ে পড়ায় বিভিন্ন দেশে শিশুদের মধ্যে সংক্রমণের সংখ্যা বেড়েছে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে প্রাপ্তবয়স্কদের তুলনায় ওমিক্রন-এ আক্রান্ত শিশুদের সংখ্যা দ্বিগুণেরও বেশি হয়েছে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও) দুই ধরনের করোনাভাইরাস, ওমিক্রন এবং ডেল্টা দ্বারা সৃষ্ট সংক্রমণের সুনামির বিষয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে। শেখ হাসিনা বলেন, ঘরে বসেও তারা যাতে ওয়েবসাইট বা মোবাইল ফোন বা ল্যাপটপের মাধ্যমে পড়াশোনা চালিয়ে যেতে পারে সেজন্য আমাদের পদক্ষেপ নিতে হবে। প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, শিক্ষার্থীদের পাঠদানের জন্য শিক্ষা মন্ত্রণালয় সবসময় সংসদ টেলিভিশন ব্যবহার করতে পারবে। করোনভাইরাস সংক্রমণ রোধে শিক্ষকদের পাশাপাশি শিক্ষার্থীদের জন্য টিকাদান কর্মসূচির কথা তুলে ধরে শেখ হাসিনা বলেন, “১২ বছর বয়স পর্যন্ত সকলকে টিকা দেওয়ার ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।” সরকারপ্রধান সতর্ক করে বলেছেন, “আমাদের এখনই ব্যবস্থা নিতে হবে যাতে এটি আবার সংক্রমিত না হয়।” তাই কেউ যেন ভ্যাকসিন থেকে বাদ না পড়ে। প্রত্যেকেরই এই টিকা নেওয়া দরকার। ” টিকা নিতে অনেকের অনীহা উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, বিষয়টি নিয়ে তিনি ইতোমধ্যে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে আলোচনা করেছেন। তিনি বলেন, সারা বাংলাদেশে কমিউনিটি ক্লিনিক সেন্টার বা স্বাস্থ্যকেন্দ্রের মাধ্যমে টিকাদান কার্যক্রম অব্যাহত রাখতে হবে, যাতে তৃণমূল পর্যায়েও মানুষ দ্রুত টিকা নিতে পারে। এসএসসির ফলাফলে উত্তীর্ণদের অভিনন্দন জানানোর পাশাপাশি যারা পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হতে পারেনি তাদের আবারও কঠোরভাবে পড়াশোনা করার পরামর্শ দেওয়া হয়।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *