ঈদে চামড়া নিয়ে সিন্ডিকেট বরদাস্ত করবে না র্যাব
র্যাবের আইন ও গণমাধ্যম শাখার পরিচালক কমান্ডার আরাফাত ইসলাম কোরবানির পশুর চামড়ার সিন্ডিকেটের বিরুদ্ধে কঠোর হুঁশিয়ারি দিয়েছেন। শুক্রবার বিকেলে রাজধানীর গাবতলী কোরবানীর পশুর হাট পরিদর্শন করে তিনি এ হুঁশিয়ারি দেন।
আরাফাত ইসলাম বলেন, “আমরা মৌসুমী চামড়া ব্যবসায়ীদের সতর্ক করতে চাই। চামড়া ব্যবসায় আমরা কোনো সিন্ডিকেটকে বরদাস্ত করব না। চামড়া ব্যবসার ব্যাপারে যাতে কোনো এলাকায় কোনো বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি না হয়। সে বিষয়ে আমাদের গোয়েন্দা তৎপরতা অব্যাহত থাকবে।
তিনি আরও বলেন, র্যাবের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে সার্বক্ষণিক উপস্থিত থাকেন। অসুস্থ বা রোগাক্রান্ত বা গরু মোটাতাজাকরণের ওষুধ দিয়ে চিকিৎসা করা হয়েছে এমন কোনো পশু বিক্রি করা যাবে না। এছাড়া এ ধরনের কর্মকাণ্ড দেখা গেলে প্রাণিসম্পদ নিয়ন্ত্রণ আইন অনুযায়ী তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। হাটে কোরবানির পশু কিনতে আসা ক্রেতারা যাতে কোনো ধরনের সমস্যার সম্মুখীন না হয় সেদিকে আমরা সতর্ক আছি।
র্যাবের এই কর্মকর্তা বলেন, গরুর হাটসহ প্রতিটি হাটে আমার ক্রেতা-বিক্রেতাদের নিরাপত্তায় র্যাব সদস্যরা কাজ করছে। কন্ট্রোল রুম টহল দিয়ে র্যাব ব্যাটালিয়নে নিরাপত্তা নিশ্চিত করা হচ্ছে। এছাড়াও ক্রেতা-বিক্রেতার কোন প্রকার দুর্ভোগ বা সমস্যা থাকলে আমাদের কন্ট্রোল রুম বা র্যাব সদস্যদের সাথে যোগাযোগ করুন। আমরা আপনাকে সবরকম সাহায্য করব।’
আরাফাত ইসলাম বলেন, “রাজধানীর প্রতিটি পাড়া-মহল্লায় আমাদের টহল দল ও কৌশলী দল রয়েছে। কোরবানির পশু নিতে বা হাটে পশু কেনার সময় যাতে রাস্তায় কোনো ধরনের সমস্যা না হয় সেদিকে আমরা সতর্ক আছি। তবে আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় সকলের সহযোগিতা প্রয়োজন।
এক হাট থেকে অন্য হাটে গরু নিয়ে যাওয়ার বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, তারা তথ্য দিয়ে সাহায্য করেন এবং কোনো অভিযোগ থাকলে আমাদের জানান। এ ধরনের কর্মকাণ্ড যারাই করেছে, তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে, যা আইনের পরিপন্থী। কেউ যেন এক হাট থেকে অন্য হাটে গরু নিতে না পারে সে বিষয়ে সবাইকে সতর্ক করা হয়েছে। এ ব্যাপারে গরু বিক্রেতা অভিযোগ করলে অবশ্যই যথাযথ ব্যবস্থা নেব।
