আনার হত্যাকাণ্ডের তদন্ত শেষে অনেকেই গ্রেপ্তার হতে পারে: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী
ঝিনাইদহ-৪ আসনের সংসদ সদস্য (এমপি) আনোয়ারুল আজিম আনার হত্যাকাণ্ডের তদন্ত শেষ হলে অনেককে গ্রেপ্তার করা হতে পারে বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান। সোমবার দুপুরে সচিবালয়ে নিজ দফতরে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এ কথা বলেন।
এমপি আনার হত্যাকাণ্ডে জড়িত সন্দেহে ঝিনাইদহ জেলা আওয়ামী লীগ নেতা কাজী কামাল আহমেদ বাবুকে আটক করা হয়েছে। এ বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, আমি বলেছি, তদন্ত শেষ হোক। অনেকে গ্রেফতার হতে পারে। তদন্তের আগে এগুলো বলা উচিত নয়।
এমপি আনার হত্যার প্রধান আসামি যুক্তরাষ্ট্রে। তাকে গ্রেফতার না করলে আসামিদের বিচার কোথায় হবে- জানতে চাইলে আসাদুজ্জামান খান বলেন, দুটি মামলা হয়েছে। যেখানে ঘটনাটি ঘটেছে সেখানে মামলা হয়েছে। এটাই হবে. আর তা নাকচ হয়ে গেলে ঢাকায় মামলা করেন সংসদ সদস্যের মেয়ে। তাই এ ঘটনায় দুই দেশই জড়িত। যেহেতু ঘটনাটি তাদের (ভারত) দেশে ঘটেছে, তাই অভিযুক্তদের ফিরিয়ে নেওয়া, বন্দি বিনিময় করা তাদের দায়িত্ব।’
তিনি বলেন, ‘আমি যতদূর জানি, ভারতের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের বন্দি বিনিময় চুক্তি রয়েছে। সেক্ষেত্রে হয়তো ভারত সরকার সেই সুবিধা পাবে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সাথে আমাদের বন্দী বিনিময় চুক্তি নেই। তবে ভারতের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ যোগাযোগ রয়েছে। বন্ধুত্বপূর্ণ দেশ হিসেবে আমরা বিশ্বাস করি তারা আমাদের সকল কাজে সহযোগিতা করছে এবং ভবিষ্যতেও তা অব্যাহত রাখবে।
আনার এমপি পদ শূন্য করতে স্পিকারের মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করতে হবে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে। কবে নাগাদ তিনি স্পিকারকে জানাবেন যে আনারের লাশ তারা শনাক্ত করেছেন; সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, ‘সঙ্গত কারণেই আসবে। আমাদের একটি প্রমাণ দরকার যে এই টুকরো টুকরো মাংসগুলি তার (আনার)। তার ডিএনএ টেস্টের ব্যবস্থা করা হয়েছে। তার মেয়ের সঙ্গে মিল থাকলে ভারত সরকার আমাদের জানাবে, তারপর আমরা বলতে পারব।
আপনি এর আগে আইনশৃঙ্খলা সভায় বলেছিলেন, আনার হত্যা মামলায় সাংসদ সত্যের খুব কাছাকাছি এসেছেন। বিষয়টি এখন কোন পর্যায়ে? জবাবে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘আমরা এখনও বলছি সত্যের কাছাকাছি চলে এসেছি। লাশ নিশ্চিত হলেই আমরা আপনার কাছে অনেক কিছু প্রকাশ করতে পারি। লাশের সত্যতা নিশ্চিত করতে যারা হত্যা করেছে তাদের বক্তব্য শুনেছি। লাশ টুকরো টুকরো করা হয়েছে বলে জানান তারা। ঠিক কোথায় রেখেছিলেন তা জানা যায়নি।
তিনি বলেন, “ভারতীয় ও আমাদের গোয়েন্দা বাহিনী সেখানে গিয়েছিল, সেখান থেকে পাওয়া জিনিসপত্র উদ্ধার করেছে এবং ডিএনএ পরীক্ষা ছাড়াই আমরা নিশ্চিত হতে পারছি না যে এগুলো তার শরীরের অংশ।”