অভিশপ্ত জীবনের এক বড় পর্যায়ে পৌঁছেছি: ড. ইউনুস

0

নোবেল বিজয়ী অধ্যাপক ডক্টর মুহাম্মদ ইউনূস বলেন, ‘এই প্রথম আমাকে লোহার খাঁচায় দাঁড়াতে হলো। এটা দেখার মত একটি দৃশ্য। আদালতের কক্ষে লোহার খাঁচার ভেতরে আমি দাঁড়িয়ে আছি এটা আমার জীবনের একটি স্মরণীয় ঘটনা। এই অভিশপ্ত জীবনের একটি অংশ।

রোববার দুপুরে দুদকের অর্থ আত্মসাতের মামলায় অভিযোগ গঠনের শুনানি শেষে সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন ড. ইউনুস।

তিনি বলেন, ‘নোবেল পুরস্কারের কথা আমরা সবাই জানি। দুইজন নোবেল পুরস্কার পেয়েছেন। একটা আমার নামে, আরেকটা গ্রামীণ ব্যাংকের নামে। উভয়ের প্রতি শ্রদ্ধা। এটি যৌথভাবে দেওয়া হয় না, উভয়ই স্বাধীন। পৃথিবীর ইতিহাসে এমন নজির নেই যে একজন নোবেল বিজয়ী আরেকজন নোবেল বিজয়ীর বিরুদ্ধে মামলা করেছেন, দুদকে হাজির হয়েছেন। এটা আমাদের কপালে, এটা অভিশাপের অংশ। আমরা এই অভিশাপ বহন করছি।

তিনি আরও বলেন, “গ্রামীণ ব্যাংক থেকে আমাকে বহিষ্কার করার অনেক দিন হয়ে গেছে। আমার বিরুদ্ধে তদন্ত কমিটি হয়েছে। রেহাই নেই, একের পর এক ঘটনা। অভিশপ্ত জীবনের বড় পর্যায়ে পৌঁছেছি।

এমন প্রশ্নের জবাবে, অভিশাপ বয়ে বেড়াচ্ছেন কেন? ইউনূস বললেন, ‘এটা দেব-দেবীর ইচ্ছা। এখানে আমার কিছু করার নেই। দেবতারা হুকুম দিলেন যে এটাকে অভিশাপ দিতে হবে, আমাকে অভিশাপ দিয়েছেন। অনেক কাঠখড় পুড়িয়ে তাদের সন্তুষ্ট করতে হয়।

নোবেল বিজয়ী বলেন, ‘এমন হয়েছে যে বাবা-ছেলের সম্পর্কের মতো দুই নোবেল বিজয়ী আমার কারণেই নোবেল পুরস্কারও পেলেন, কিন্তু তারা এমনভাবে আমার বিরুদ্ধে এসেছেন, আমাকে আক্রমণ করেছেন। খুব কঠোর ভাষায়, কঠোর ভাষায়। . অভিযোগ থাকতে পারে, কিন্তু কঠোর ভাষায় আক্রমণ করা হয়, যা ভিত্তিহীন। ঘটনার কোনো সত্যতা নেই, আমার দেওয়া জিনিসের কারণে আমার বিরুদ্ধে অনেক টাকা খুন ইত্যাদির অভিযোগ উঠেছে।’

ইউনূস বলেন, দেশের একজন নাগরিক হিসেবে আমি বলতে চাই কারো বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা হবে কেন? আমার সহকর্মীরা মানবতার কল্যাণে জীবন দিয়েছেন, তাদের কেন হয়রানি করা হবে। কেন তারা লোহার খাঁচায় ঢুকবে?

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *