ঘূর্ণিঝড় রেমাল,পায়রা বন্দরের সব কার্যক্রম বন্ধ, আশ্রয়কেন্দ্রে যাচ্ছে মানুষ

0

প্রবল শক্তি নিয়ে এগিয়ে আসছে ঘূর্ণিঝড় রেমাল। পায়রা বন্দরের সব ধরনের কার্যক্রম স্থগিত করা হয়েছে। সর্বোচ্চ ১০ নম্বর জরুরি সংকেত জারি করায় উপকূলীয় এলাকার মানুষের মধ্যে আতঙ্ক বিরাজ করছে।

পটুয়াখালীতে সকাল থেকে দমকা হাওয়াসহ বৃষ্টি হচ্ছে। সিপিপি স্বেচ্ছাসেবকরা অবিরাম মাইকিং করে নিরাপদ আশ্রয়ে যাওয়ার ঘোষণা দিচ্ছেন।

পায়রা বন্দরের উপ-পরিচালক আজিজুর রহমান জানান, ইতোমধ্যে বন্দরের সব জাহাজ ও সম্পদ নিরাপদ আশ্রয়ে স্থানান্তর করা হয়েছে। বন্দরের সকল কার্যক্রম বন্ধ রয়েছে। ঘূর্ণিঝড়ের সম্ভাব্য ক্ষয়ক্ষতি মোকাবিলায় বন্দর কর্তৃপক্ষ একাধিক টিম গঠন করেছে। এদিকে দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়ার কারণে পটুয়াখালীর অভ্যন্তরীণ সব রুটে নৌযান চলাচল বন্ধ রেখেছে বিআইডব্লিউটিএ কর্তৃপক্ষ।

জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গেছে, বন্যা দুর্গতরা জেলার যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন চারণভূমির আশ্রয়কেন্দ্রে আশ্রয় নিতে শুরু করেছে। জেলায় মোট ৭০৩টি আশ্রয়কেন্দ্র প্রস্তুত রাখা হয়েছে। এছাড়া ৩৫টি মুজিব কিল্লাসহ শতাধিক প্রাথমিক, মাধ্যমিক ও মাদ্রাসাকে আশ্রয়কেন্দ্র হিসেবে প্রস্তুত করা হয়েছে।

পটুয়াখালী পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. আরিফ হোসেন জানান, বাঁধের ১০ কিলোমিটার বিভিন্ন পয়েন্টে ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় রয়েছে। ক্রমবর্ধমান জোয়ার ঝুঁকিপূর্ণ এলাকায় বাঁধ ভেঙ্গে এবং বড় এলাকা প্লাবিত করতে পারে। তবে পানি উন্নয়ন বোর্ড জরুরি মেরামতের জন্য ৬০০ বস্তা জিও ব্যাগ ও জনবল প্রস্তুত করেছে।

কলাপাড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) রবিউল ইসলাম জানান, দুপুর ১২টা পর্যন্ত প্রায় ৫ হাজার ক্ষতিগ্রস্ত মানুষকে আশ্রয়কেন্দ্রে নেওয়া হয়েছে। এ কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে। সন্ধ্যার মধ্যে অর্ধ লাখ মানুষ আশ্রয় কেন্দ্রে পৌঁছাবে বলে তিনি আশা করছেন।

জেলা প্রশাসক নূর কুতুবুল আলম জানান, প্রতিটি উপজেলায় মানুষ আশ্রয়কেন্দ্রে আসতে শুরু করেছে। দুপুর ১টা পর্যন্ত ২৫,০০০ থেকে ৩০,০০০ মানুষ আশ্রয়কেন্দ্রে পৌঁছেছে। স্বেচ্ছাসেবক, ইউপি সদস্য, চৌকিদার ও সমাজকর্মীরা ক্ষতিগ্রস্ত এলাকায় মানুষকে নিরাপদ আশ্রয়ে নিয়ে যেতে কাজ করছেন। যারা আশ্রয়কেন্দ্রে অবস্থান করছেন তাদের জন্য সরকার খাদ্য সরবরাহ করছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *