ফাঁসির আসামিকে কনডেমড সেলে না রাখার বিষয়ে হাইকোর্টের রায় স্থগিত
‘মৃত্যুদণ্ড চূড়ান্ত হওয়ার আগে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামিদের কনডেমড সেলে রাখা যাবে না’ সে বিষয়ে সুপ্রিম কোর্টের হাইকোর্ট বিভাগের রায় আগামী ২৫ আগস্ট পর্যন্ত স্থগিত করেছে আপিল বিভাগের চেম্বার আদালত।এই সময়ের মধ্যে হাইকোর্টের রায়ের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রপক্ষকে লিভ টু আপিল করতে বলা হয়েছে।
বুধবার আপিল বিভাগের চেম্বার বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম এ আদেশ দেন। আদালতে রাষ্ট্রপক্ষে শুনানি করেন অ্যাটর্নি জেনারেল এ এম আমিন উদ্দিন। আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ শিশির মনির।
মঙ্গলবার এই রায় স্থগিত চেয়ে হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় আপিল বিভাগে আবেদন করে রাষ্ট্রপক্ষ।
এর আগে ১৩ মে মৃত্যুদণ্ড চূড়ান্ত হওয়ার আগে আসামিদের কনডেমড সেলে রাখাকে বেআইনি ঘোষণা করেন হাইকোর্ট। এ বিষয়ে জারি করা রুল নিষ্পত্তি করেন বিচারপতি শেখ হাসান আরিফ ও বিচারপতি মো. বজলুর রহমানের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ রায় ঘোষণা করেন। দীর্ঘ সাড়ে ৩ ঘণ্টা পর রায় ঘোষণা করা হয়।
রায়ে বলা হয়, রাষ্ট্রপতির কাছে আপিল, রিভিউ, ক্ষমার পর্যায় নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত আসামিকে কনডেমড সেলে রাখা যাবে না। বর্তমানে মৃত্যুদণ্ড চূড়ান্ত হওয়ার আগে সারাদেশে যেসব আসামিকে কনডেমড সেলে রাখা হয়েছে তাদের দুই বছরের মধ্যে ধীরে ধীরে কমন সেলে রাখতে বলা হয়েছে। তবে বিশেষ কারণে (স্বাস্থ্যের কারণ, সংক্রামক রোগ) কারা কর্তৃপক্ষ একজন ব্যক্তিকে নির্জন কারাগারে রাখতে পারে। সেক্ষেত্রে ওই ব্যক্তির উপস্থিতিতে শুনানি হতে হবে।
আদালতে রিট আবেদনের শুনানি করেন আইনজীবী মোহাম্মদ শিশির মনির। তার সঙ্গে ছিলেন অ্যাডভোকেট আসাদ উদ্দিন। রাষ্ট্রপক্ষে শুনানি করেন অ্যাটর্নি জেনারেল এ এম আমিন উদ্দিন ও ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল অমিত তালুকদার। এ সময় সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল এমএমজি সারোয়ার পায়েল, নাসিম ইসলাম রাজু উপস্থিত ছিলেন।
চট্টগ্রাম কারাগারের কনডেমড সেলে থাকা সাতকানিয়ার জিল্লুর রহমান, সিলেট কারাগারে থাকা সুনামগঞ্জের আবদুল বশির এবং কুমিল্লা কারাগারে থাকা খাগড়াছড়ির শাহ আলমের পক্ষে রিটটি করা হয়। মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত এই তিন আসামির আপিল হাইকোর্ট বিভাগে বিচারাধীন।