ড.ইউনূসের কর ফাঁকি মামলার শুনানি শুরু

0

নোবেল বিজয়ী অর্থনীতিবিদ ও গ্রামীণ ব্যাংকের সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) ড. মুহাম্মদ ইউনূসের গ্রামীণ কল্যাণের ৬৬৬ কোটি টাকা কর ফাঁকির মামলার শুনানি শুরু হয়েছে। আজ বৃহস্পতিবার হাইকোর্টে এ মামলার শুনানি শুরু হয়।

এর আগে গত ১১ মার্চ মুহাম্মদ ইউনূসের গ্রামীণ কল্যাণের ৬৬৬ কোটি টাকার কর ফাঁকি মামলা ৩ মাসের মধ্যে নিষ্পত্তি করতে হাইকোর্টকে নির্দেশ দেন আপিল বিভাগ, প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসানের নেতৃত্বে ৫ বিচারপতির আপিল বেঞ্চ এ আদেশ দেন।

এদিকে শ্রম আইন লঙ্ঘনের মামলায় ড. মুহাম্মদ ইউনূসসহ চারজনের জামিনের মেয়াদ বাড়িয়েছেন আদালত। এদিকে শনিবার আরেকটি মামলায় হাইকোর্টের আদেশে তিনি ৫৪ কোটি টাকা ব্যাংকে জমা দেন। ড. ইউনুস।

গত ১১ মার্চ শ্রম আইন লঙ্ঘনের মামলায় লিখিত আদেশে আদালত বলেন, এ মামলার আপিল শুনানির জন্য ১৬ এপ্রিল দিন ধার্য করা হয়েছে। সেদিন আবার হাজির হবেন ড. ইউনূসসহ ৪ জন। ইউনূসের জামিনের মেয়াদ বাড়ানোর বিষয়ে শ্রম আদালতের লিখিত রায়ে বিষয়টি উল্লেখ করা হয়।

এর আগে গত ৩ মার্চ এ মামলায় জামিনের মেয়াদ শেষ হওয়ায় শ্রম আপিল ট্রাইব্যুনালে হাজির হয়ে জামিনের আবেদন করেন ড. ইউনূস। গ্রামীণ টেলিকম থেকে জামিন নিতে এসেছেন আরও তিনজন। ওই দিন এ মামলায় আপিল শুনানির জন্য ১৬ এপ্রিল দিন ধার্য করেন আদালত। ২৮ জানুয়ারি খালাসের আবেদন করেন ড. মুহাম্মদ ইউনূস।

২৬ কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগে ২০২২ সালের ৪ জুলাই গ্রামীণ টেলিকমের ৮ কর্মকর্তাসহ ১৪ জনের বিরুদ্ধে মামলা করে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। পরে অভিযোগের প্রাথমিক প্রমাণসহ অধ্যাপক ইউনূসের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দাখিল করে সংগঠনটি।

এদিকে, রোববার বিকেলে রাজধানীর পল্লবীর রূপালী ব্যাংকে আয়কর মামলায় হাইকোর্টের আদেশের বিরুদ্ধে আপিল করতে ৫৪ কোটি টাকা জমা দেন নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ ড. মুহাম্মদ ইউনূস। এর আগে বৃহস্পতিবার (৭ মার্চ) হাইকোর্টের নির্দেশে ইউনূসের গ্রামীণ কল্যাণকে ১১৯ কোটি টাকা কর দিতে হবে। ২০১১-১২ থেকে পরবর্তী পাঁচ আর্থিক বছরের জন্য কোম্পানিটিকে এই আয়কর দিতে হবে।

জানা গেছে, গত বছরের ২৫ জুলাই বকেয়া দাতা হিসেবে নোবেলজয়ী এই নোবেলজয়ী কোষাগারে জমা দেন ১২ কোটি ৪৬ লাখ ৭২ হাজার টাকা। তিনি সাউথইস্ট ব্যাংকে পে-অর্ডারের মাধ্যমে এই অর্থ পরিশোধ করেন।

উল্লেখ্য, গত ১ জানুয়ারি গ্রামীণ টেলিকমের চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে এক মামলায় ঢাকার তৃতীয় শ্রম আদালতে শেখ মেরিনা সুলতানা চেয়ারম্যান ড. ইউনূস ও পরিচালক আশরাফুল হাসান, নূরজাহান বেগম ও এম শাহজাহানকে ৬ মাসের কারাদণ্ড দেওয়া হয়। একইসঙ্গে চারজনকে ৩০ হাজার টাকা করে জরিমানা ও অনাদায়ে আরও ২৫ দিনের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেন আদালত। আর রায়ের পর তারা পৃথক জামিনের আবেদন করলে আপিলের শর্তে চারজনকেই জামিন দেন আদালত।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *