ডিসেম্বর 15, 2025

রমজানে ত্বকের পানিশূন্যতা রোধে করণীয়

Untitled design (6)

রোজা রাখার কারণে অনেকেই পানিশূন্য হয়ে পড়েন। ডিহাইড্রেশন ত্বকের চরম ক্ষতি করে। শুষ্কতা দেখা দেয়। এছাড়াও ত্বকের উজ্জ্বলতা হারায়। একজন রোজাদারের শরীরে ডিহাইড্রেশনের পরিমাণ নির্ভর করে ইফতার থেকে সেহরি পর্যন্ত ব্যক্তি কতটা পানি পান করেছে তার ওপর। অর্থাৎ রোজা রাখার সময় তিনি যে পরিমাণ শারীরিক পরিশ্রম করেন এবং যে আবহাওয়ায় তিনি অবস্থান করছেন। পানি ও খাবারের অভাব, দৈনন্দিন রুটিনে পরিবর্তন এবং পর্যাপ্ত ঘুমের অভাব রমজান মাসে আমাদের ওপর এক ধরনের শারীরিক ও মানসিক চাপ সৃষ্টি করে। ক্লান্তি দেখা দেয়। এছাড়া চোখের চারপাশে ডার্ক সার্কেল অর্থাৎ কালো দাগ পড়ে। শরীর পানিশূন্য হলে চোখে ক্লান্তি দেখা দেয়।

Description of image

লক্ষণ: রোজা অবস্থায় শরীর পানিশূন্য হয়ে পড়লে, দৃষ্টি ঝাপসা দেখা, চোখ ডুবে যাওয়া, মূত্রনালীর সংক্রমণ, মূত্রনালীতে জ্বালাপোড়া, মাথাব্যথা ও মাথা ঘোরা, কর্মক্ষমতা কমে যাওয়া, দুর্বলতা, শরীরের তাপমাত্রা কম, শুষ্ক ত্বক এবং কোষ্ঠকাঠিন্য। পানির অভাব শরীরে ইলেক্ট্রোলাইট ভারসাম্যহীনতা সৃষ্টি করে। অর্থাৎ তরল আকারে শরীরে সোডিয়াম, ম্যাগনেসিয়াম, ক্লোরাইড, ক্যালসিয়াম, ফসফেট, পটাসিয়ামের মতো বিভিন্ন উপাদানের অসামঞ্জস্য রয়েছে। এ অবস্থা বাড়লে মানুষের মৃত্যু হতে পারে।

কী খাবেন: পানিশূন্যতা রোধ করতে রমজানে শুধু পানি পান করাই যথেষ্ট নয়। ইলেক্ট্রোলাইট ভারসাম্যহীনতা এড়াতে প্রচুর পরিমাণে অন্যান্য তরল পান করুন। ডাবের পানি, চিনির শরবত, গুড়ের শরবত, লাচি, দুধ, স্যুপ খাওয়া যেতে পারে। পানিশূন্যতা দেখা দিলে স্যালাইন খাওয়া যেতে পারে। ডিহাইড্রেশন খাবার দিয়েও ক্ষতিপূরণ করা যেতে পারে। মাছের ঝোল, ডাল, দুধ খেতে হবে। এতে পানির চাহিদা কিছুটা মিটবে। ইলেক্ট্রোলাইট ভারসাম্য বজায় রাখার জন্য পানির প্রয়োজনীয়তা মেটাতে ফলের রস খাওয়া যেতে পারে। এটি ইলেক্ট্রোলাইট ভারসাম্য বজায় রাখতে সাহায্য করবে। তরমুজ, কমলা, গোলমরিচসহ মৌসুমি ফল খেতে পারেন। তবে ইফতারের সময় সরাসরি ফলের রস খাওয়া যাবে না। পানি মিলিয়ে খেতে হবে । সারাদিন রোজা রাখার পর খালি পেটে ফলের রস খেলে অ্যাসিডিটিসহ নানা সমস্যা হতে পারে।