শুরু হলো পবিত্র মাহে রমজান
সোমবার দেশের আকাশে পবিত্র রমজান মাসের চাঁদ দেখা গেছে। ফলে মঙ্গলবার (১২ মার্চ) থেকে শুরু হয়েছে আত্মসংযম, আত্মশুদ্ধি ও ত্যাগের মাস।
আল্লাহ তায়ালার নৈকট্য লাভের সর্বোত্তম সময়, পরকালের পথ অর্জনের অকল্পনীয় মৌসুম। সিয়াম-সাধনা, ইবাদত-বন্দেগী, যিকির-আসকার এবং তাজকিয়া ও আত্মশুদ্ধিতে পরিপূর্ণ বসন্ত।
মহান আল্লাহ এই মাসের প্রতিটি দিনে দান করেছেন- রজনী অফুরন্ত নিয়ামত-আশীর্বাদ-ক্ষমা এবং মুষলধারে বৃষ্টির মতো অসীম নেকী। রোজা ইসলামের পাঁচটি স্তম্ভের একটি। দীর্ঘ ১১ মাসের পাপ থেকে মুক্তি পাওয়ার এক অপূর্ব সুযোগ নিয়ে আসে এই মাস। এটি প্রশিক্ষণের মাস। ইসলামের মৌলিক ইবাদতের মধ্যে রোজা অন্যতম। আর এই রোজা মুসলমানদের উপর ফরজ করা হয়েছে।
মাহে রমজান দোয়া কবুলের মাস। রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেনঃ রমজান মাসে প্রত্যেক মুসলমানের দোয়া কবুল হয়। (মুসনাদে আহমাদ)। অন্য হাদিসে আছে, ‘আল্লাহ রাব্বুল আলামিন রমজানের প্রতি রাতে ও দিনে বহু মানুষকে মুক্তি দিয়ে থাকেন এবং প্রতি রাতে ও দিনে মুসলমানদের দোয়া কবুল হয়। (সহী আত-তারগীব ওয়াত-তারহিব)।
গতকাল সন্ধ্যায় বায়তুল মোকাররমে ইসলামিক ফাউন্ডেশনের সভাকক্ষে জাতীয় চাঁদ দেখা কমিটির সভায় ধর্মমন্ত্রী ফরিদুল হক খান বলেন, শাবান মাস ২৯ দিনে শেষ হয়েছে। আজ মঙ্গলবার থেকে সিয়াম সাধনার মাস শুরু হয়েছে। পবিত্র লাইলাতুল কদর পালিত হবে শনিবার রাতে (রমজানের ২৭ তম রাত) ৬ এপ্রিল। রমজান মাসের শেষে আসবে মুসলমানদের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব ঈদ-উল-ফিতর। ৩০ রোজা বেশি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। সেক্ষেত্রে ১১ এপ্রিল হতে পারে ঈদুল ফিতর। ইসলাম অনুসারে, রমজান মাসে আল্লাহ প্রতিটি নেক কাজের প্রতিদান ৭০ গুণ বাড়িয়ে দেন।