খাল খননে পর্যাপ্ত ব্যবস্থা না নেওয়ার অভিযোগ, নির্দেশনা মানা হয়নি বলে দাবি সিডিএর

0

চট্টগ্রামে দুটি ভবন ও একটি মন্দির হেলে পড়েছে। সোমবার রাতে নগরীর মাঝিরঘাট স্ট্যান্ড রোড এলাকায় দুটি ভবন ধসে পড়ে। দুটি ভবনের বাসিন্দাদের অভিযোগ, চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (সিডিএ) জলাবদ্ধতা নিরসনে কাজ করার সময় ভবন ও মন্দির দুটি হেলে পড়েছে। খাল খননে পর্যাপ্ত নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। অন্যদিকে সিডিএ বলছে, এগুলো অবৈধ ভবন। নির্মাণের সময় নির্দেশনা যথাযথভাবে অনুসরণ করা হয়নি।

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, স্ট্যান্ড রোড পার্বতী ফকির পাড়া এলাকায় গোলজার খালের পাড়ে ভবনগুলো অবস্থিত। হেলে পড়া তিনতলা ভবনটি একটি একতলা মন্দিরের উপর ধসে পড়ে। পাশেই আর একটি দোতলা ভবনও ধসে পড়েছে। খালের পাড়ে বেশ কয়েকটি বাড়িতে ফাটল দেখা দিয়েছে।

স্বপন দাস একটি তিনতলা ভবনের মালিক। ওই ভবনে তিন ভাই থাকেন। তিন-চার বছর আগে তারা ভবনটি নির্মাণ করেন।

স্বপন দাস বলেন, আমরা অনুমোদন নিয়ে ভবনটি নির্মাণ করেছি। খাল খননের আগে যে অংশটি অবৈধ ছিল তা ভেঙে ফেলে সিডিএ। এরপরও নিরাপত্তা ব্যবস্থা না থাকায় খালটি ধসে পড়ে। বারবার বলার পরও তা শুনছে না।

সিডিএর প্রধান নগর পরিকল্পনাবিদ শাহিন উল ইসলাম খান বলেন, এগুলো অবৈধ ভবন। নকশা অনুমোদনের সময় খাল থেকে ১২ ফুট দূরে ভবন নির্মাণের নির্দেশনা দিয়েছিলাম। তা না মানায় ভবন ধসে পড়ছে। তারপরও তারা বৈধ কাগজপত্র দেখাতে পারলে ভবনটি বৈধ হলে আমরা ক্ষতিপূরণ দেব। আমরা এখন এ বিষয়ে সিটি করপোরেশনকে অবহিত করব। ভবনগুলো কতটা ঝুঁকিপূর্ণ তা নির্ধারণ করে পরবর্তী পদক্ষেপ নেবে সিটি করপোরেশন। আইন অনুযায়ী ঝুঁকিপূর্ণ ভবন অপসারণের দায়িত্ব তাদের।

জলাবদ্ধতা নিরসন প্রকল্পের পরিচালক কর্নেল মোহাম্মদ শাহ আলী বলেন, আমরা পর্যাপ্ত নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিয়েছি। খালের পাশের মাটি যাতে ধসে না যায় সে জন্য আমি প্রায় ৪০ ফুট গভীরতা পর্যন্ত শীট ফাইল করেছি। মূলত আতঙ্কে ভবনগুলো ধসে পড়ছে।

চট্টগ্রাম ফায়ার সার্ভিস অ্যান্ড সিভিল ডিফেন্সের পরিদর্শক কুতুব উদ্দিন জানান, সোমবার বেলা ১১টা ৫ মিনিটে তিনি খবর পান। পরে ঘটনাস্থলে এসে হেলে পড়া ভবনের বিদ্যুৎ ও গ্যাসের লাইন সংযোগ বিচ্ছিন্ন করি। ভবনের বাসিন্দাদের নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে। ভবনগুলো খুবই ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় রয়েছে। এগুলো আর ব্যবহারযোগ্য নয়।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *