গোলাগুলির শব্দে কাঁপছে টেকনাফ
কক্সবাজারের টেকনাফ উপজেলার শাহপরী দ্বীপ সীমান্তের ওপার থেকে এখনও গুলির শব্দ শোনা যাচ্ছে। নাফ নদীতে স্থানীয়দের বহনকারী নৌযান চলাচল সীমিত রয়েছে।
স্থানীয়দের মতে, বিস্ফোরণের শব্দ তাদের কাছে ভূমিকম্পের মতো মনে হয়েছে। তারা বলছেন, মিয়ানমারের ওপারে বাংলাদেশের কক্সবাজারের টেকনাফ উপজেলার শাহপরী দ্বীপে এই আওয়াজ শোনা গেছে।
ইউপি সদস্য আব্দুস ছালাম জানান, রোববার রাতে পরিস্থিতি শান্ত ছিল। কোনো গোলাগুলির শব্দ শোনা যায়নি। তবে সোমবার (১৯ ফেব্রুয়ারি) সকাল সাড়ে ৯টার পর থেকে আবারও মাঝেমধ্যে গোলাগুলির শব্দ শোনা যাচ্ছে।
এতে টেকনাফের শাহপরী দ্বীপ সীমান্তের নাফ নদী দিয়ে আবারও রোহিঙ্গারা প্রবেশের আশঙ্কা করছেন স্থানীয়রা। কিছু রোহিঙ্গা বিচ্ছিন্নভাবে অনুপ্রবেশের চেষ্টা করলেও সংখ্যাটা আগের মতো বেশি নয়।
টেকনাফের ইউএনও মো. আদনান চৌধুরী বলেন, সংঘাত মিয়ানমারের অভ্যন্তরীণ সমস্যা। তবে সংঘর্ষের পরিস্থিতির কারণে বিজিবি ও কোস্টগার্ড তাদের টহল বাড়িয়েছে যাতে এখানে (বাংলাদেশ) কোনো সমস্যা না হয়। সীমান্তবর্তী বাসিন্দাদেরও সতর্ক থাকার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।
কক্সবাজার শরণার্থী ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশনার মো. মিজানুর রহমান বলেন, সম্প্রতি টাস্কফোর্সের বৈঠকে রোহিঙ্গা প্রবেশের বিষয়টি নিয়ে আলোচনা হয়েছে। বৈঠকে জাতিসংঘের একটি সংস্থার সীমান্তের ১৯টি পয়েন্টে অবস্থানরত প্রায় ৯০০ রোহিঙ্গাকে প্রবেশের অনুমতি দেওয়ার প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করা হয়।
তিনি বলেন, সরকার ইতোমধ্যে প্রায় ১১ লাখ রোহিঙ্গার বোঝা বহন করতে হিমশিম খাচ্ছে। এছাড়াও এসব রোহিঙ্গাদের নিয়ে দিন দিন আইনশৃঙ্খলা রক্ষাসহ নানা ঝুঁকি তৈরি হচ্ছে। এমন পরিস্থিতিতে নতুন কোনো রোহিঙ্গাকে কোনো অবস্থাতেই প্রবেশ করতে দেওয়া হবে না বলে সিদ্ধান্ত নিচ্ছে সরকার।