বিভ্রান্তি রোধে বাংলাদেশ ও ইউরোপীয় ইউনিয়ন একসঙ্গে কাজ করবে: সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী
তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী মোহাম্মদ আলী আরাফাত বলেছেন, বাংলাদেশ ও ইউরোপীয় ইউনিয়ন ভুল তথ্য ও মিথ্যা তথ্য ঠেকাতে একসঙ্গে কাজ করবে।
রোববার বিকেলে সচিবালয়ে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ে প্রতিমন্ত্রীর সঙ্গে বাংলাদেশে নিযুক্ত ইউরোপীয় ইউনিয়নের রাষ্ট্রদূত হোয়াইটলির সৌজন্য সাক্ষাৎ শেষে এক প্রেস ব্রিফিংয়ে প্রতিমন্ত্রী এ কথা বলেন। এর আগে বাংলাদেশে নিযুক্ত ইউরোপীয় ইউনিয়নের রাষ্ট্রদূত প্রতিমন্ত্রীর সঙ্গে তার কার্যালয়ে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন।
এ সময় প্রতিমন্ত্রী সাংবাদিকদের বলেন, ইউরোপীয় ইউনিয়নেও ভুল তথ্য ও মিথ্যা তথ্য সারা বিশ্বে মানুষকে ডিজিটাল ঝুঁকিতে ফেলেছে। প্রযুক্তি ব্যবহার করে এসব ভুল তথ্য ও মিথ্যা তথ্য তৈরি ও প্রচার করা হচ্ছে। বিভ্রান্তি, মিথ্যা তথ্য এবং ভুল তথ্য এমন একটি বিষয় যা আগামী দিনে মানুষকে সবচেয়ে বেশি ঝুঁকিতে ফেলবে। বাংলাদেশ ও ইউরোপীয় ইউনিয়ন কীভাবে সে ক্ষেত্রে পারস্পরিক সহযোগিতা করতে পারে সে বিষয়ে রাষ্ট্রদূতের সঙ্গে কথা হয়।
প্রতিমন্ত্রী আরও বলেন, বাংলাদেশের বিষয়ে ইউরোপীয় ইউনিয়নের সমর্থন, সহযোগিতা ও অংশীদারিত্ব নিয়েও আলোচনা হয়েছে। কীভাবে অন্তর্ভুক্তিমূলক ব্যবস্থার মাধ্যমে বিভ্রান্তি ও মিথ্যা তথ্য শনাক্ত করা যায় সে বিষয়ে আলোচনা হয়েছে।
ইউরোপীয় ইউনিয়ন কী ধরনের সহযোগিতা দেবে এমন প্রশ্নের জবাবে প্রতিমন্ত্রী বলেন, মতবিনিময়, প্রযুক্তিগত সহযোগিতা থাকবে।
সারা বিশ্বে বিভিন্ন সংঘাতের কারণে সাংবাদিকরা ঝুঁকির মধ্যে থাকার বিষয়ে ইইউ রাষ্ট্রদূতের সঙ্গে তার আলোচনা হয়েছে উল্লেখ করে প্রতিমন্ত্রী আরও বলেন, বৈশ্বিক প্রেক্ষাপটে সাংবাদিকদের নিরাপত্তা ও স্বাধীনতা নিয়ে ইইউ রাষ্ট্রদূতের সঙ্গে আলোচনা হয়েছে। ইউরোপীয় ইউনিয়নের রাষ্ট্রদূত এ ক্ষেত্রে ইউরোপের বিভিন্ন চ্যালেঞ্জের কথা বলেন। আমাদের দেশে কোথায় আমরা আরও উন্নতি করতে পারি, যেখানে আমাদের সুযোগ রয়েছে সে বিষয়ে আমরা তার সাথে কথা বলেছি।
তিনি আরও বলেন, পেশাদার সাংবাদিকরা বলছেন, গণমাধ্যমের প্রসারকে উদার করতে গিয়ে গণমাধ্যমে বিশৃঙ্খলা ঢুকে পড়েছে। সরকার সাংবাদিকতা, মিডিয়া স্পেস, রাজনীতি সবখানেই সুস্থ পরিবেশ চায়। গণতন্ত্র মানে আইনের শাসনও। গণতন্ত্র মানে সবকিছুর স্বাধীনতা আর আইনের শাসন মানে আমি কিছুই করতে পারি না। দুটির একটি সূক্ষ্ম ভারসাম্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ।
ইইউ রাষ্ট্রদূত চার্লস হোয়াইটলি প্রতিমন্ত্রীর সাথে সৌজন্য সাক্ষাতের পর সাংবাদিকদের বলেছেন তিনি প্রতিমন্ত্রীর সাথে দুর্নীতির বিষয়টি নিয়ে বিশেষভাবে আলোচনা করেছেন কারণ বিষয়টি বিশ্বব্যাপী আলোচিত হচ্ছে এবং ইইউও এটি নিয়ে কাজ করছে।
