সীমান্তে গোলাগুলি।বান্দরবান সীমান্তবর্তী ৬ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ ঘোষণা
বাংলাদেশ ও মায়ানমার সীমান্তে ক্যাম্প দখলকে কেন্দ্র করে সকাল থেকে অব্যাহত গোলাগুলির ঘটনায় বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার ঘুমধুম-তুমব্রু সীমান্তে ছয়টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে রয়েছে পাঁচটি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ও একটি মাদ্রাসা। উপজেলার প্রাথমিক ও মাধ্যমিক শিক্ষা বিভাগ বিষয়টি নিশ্চিত করেছে।
ঘুমধুম তদন্ত কেন্দ্রের পুলিশ পরিদর্শক (আইসি) মাহাফুজ ইমতিয়াজ ভূঁইয়া নিশ্চিত করেছেন যে রোববার (৪ ফেব্রুয়ারি) রাতভর ঘুমধুম-তুমব্রু সীমান্তে গোলাগুলি চলছিল।
গোলাগুলির বিষয়ে ঘুমধুম ইউনিয়নের ৫ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য মো. আনোয়ার হুসেন জানান, গত রাত থেকে মিয়ানমারের অভ্যন্তরে ব্যাপক গোলাগুলি ও বোমার শব্দ শোনা যাচ্ছে। তুমব্রু পশ্চিমের ৩৩ ও ৩৪ নম্বর পিলারের সীমান্তে ঘুমধুম ইউনিয়নের ১, ২ ও ৩ নং ওয়ার্ডে গত রাত থেকে রাত ১১টা পর্যন্ত মিয়ানমারের অভ্যন্তরে ব্যাপক গোলাগুলির শব্দ শোনা যায়।
নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা ত্রিরতন চাকমা জানান, ধুমধুমের সীমান্তবর্তী পাঁচটি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়- বাইশ পরী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, ভাজা বানিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, তুমব্রু সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, পশ্চিমকুল তুমব্রু সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ও দক্ষিণ ঘুমধুম সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়। গত রাত থেকে সকাল পর্যন্ত মিয়ানমারের অভ্যন্তরে গোলাবর্ষণের কারণে বন্ধ রয়েছে। রোববার (৪ ফেব্রুয়ারি) প্রাথমিক বিদ্যালয় একদিনের জন্য বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে।
এছাড়া সীমান্ত থেকে একশ গজ দূরে মিসকাতুন নবী দাখিল মাদ্রাসাও বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে বলে জানা গেছে।