দুই দিনের মধ্যে গ্যাস সংকট সমাধানের আশ্বাস দিয়েছেন জ্বালানি প্রতিমন্ত্রী
আগামী দুই দিনের মধ্যে ঢাকা ও চট্টগ্রামে গ্যাস সংকট কেটে যাবে বলে জানিয়েছেন বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বিপু।
রোববার (২১ জানুয়ারি) দুপুরে মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এ কথা বলেন।
নসরুল হামিদ বলেন, শীত মৌসুম ও অবৈধ গ্যাস লাইনের কারণে বেশি গ্যাস সংকট দেখা দিয়েছে। ঢাকা ও চট্টগ্রামে গ্যাস সংকট শিগগিরই কেটে যাবে। সবাইকে ধৈর্য ধরতে হবে।
প্রতিমন্ত্রী আরও বলেন, শীতকালে এখনো গ্যাসের সংকট থাকে। দেশের প্রায় ৭৫ শতাংশ গ্রাহক এলপিজি ব্যবহার করেন। বাসাবাড়িতে চুলার গ্যাস সংযোগ রয়েছে খুবই কম। ঢাকা, ময়মনসিংহ এবং চট্টগ্রামের কিছু অংশের মানুষ চুলার জন্য গ্যাস ব্যবহার করে। বিস্তীর্ণ এলাকায় প্রায় সাত লাখ ৫০ হাজার অবৈধ গ্যাস লাইন উচ্ছেদ করা হলেও আবার নতুন অবৈধ লাইন খোলা হচ্ছে। ফলে বিশাল এলাকায় গ্যাস পেতে সমস্যা হচ্ছে।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, আমাদের সব গ্রাহককে মিটারের মধ্যে আনার চেষ্টা চলছে। আগামী দুই বছরের মধ্যে দেশের সব গ্রাহককে প্রিপেইড গ্যাস মিটারের আওতায় আনা হবে। এরপর থেকে নিরবচ্ছিন্নভাবে গ্যাস সরবরাহ করা সম্ভব হবে। এরই মধ্যে সাড়ে চার লাখ গ্যাস মিটার বসানো হয়েছে। আমাদের লক্ষ্য আগামী তিন বছরের মধ্যে সর্বত্র গ্যাস মিটার চালু করা। আমরা এলপিজির পরিধি বাড়াতে চাই।
এর আগে মহেশখালীতে এলএনজি এফএসআরইউর কারিগরি ত্রুটির কারণে সরবরাহ না হওয়ায় শুক্রবার (১৯ জানুয়ারি) সকাল থেকে চট্টগ্রাম ও আশপাশের এলাকায় তীব্র গ্যাস সংকট শুরু হয়। বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয় শনিবার (২০ জানুয়ারি) এক ফেসবুক পোস্টে জানায়, মহেশখালীর টার্মিনালে কারিগরি ত্রুটির কারণে এলএনজি সরবরাহে বিঘ্ন ঘটায় গ্যাসভিত্তিক বিদ্যুৎ উৎপাদন ব্যাহত হচ্ছে। এতে দেশের বিভিন্ন স্থানে লোডশেডিং হতে পারে।