নজরদারিতে সারের বাজার।কারসাজি করলেই কঠিন শাস্তি
প্রায় তিন মাস ধরে কৃষকরা নির্ধারিত দামে পর্যাপ্ত সার পাচ্ছেন না। অবশেষে সারের বাজার নিয়ন্ত্রণে কঠোর অবস্থান নিয়েছে সরকার। পরিস্থিতি পর্যালোচনা করতে কৃষি মন্ত্রণালয়, শিল্প মন্ত্রণালয় এবং বাংলাদেশ ফার্টিলাইজার অ্যাসোসিয়েশন (বিএফএ)সহ বিভিন্ন দপ্তর বৈঠক করেছে। নির্ধারিত মূল্যে সার বিক্রি নিশ্চিত করতে এবং সার বাজারে নজরদারি বাড়াতে মাঠে চিঠি দিয়েছে কৃষি মন্ত্রণালয়। আগামী ৩০ দিন ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। সার পরিবহন সমস্যা সমাধানে রেলওয়ের সঙ্গে চুক্তি হয়েছে। কোনো ডিলার সারের দামের বেশি নিলে তার সদস্যপদ বাতিল করা হবে।
মঙ্গলবার কৃষি মন্ত্রণালয়ে মজুদের সার্বিক পরিস্থিতি পর্যালোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। কৃষিমন্ত্রী ড. মোঃ আব্দুর রাজ্জাক, শিল্পমন্ত্রী নুরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ুন, শিল্পমন্ত্রী কামাল আহমেদ মজুমদার, কৃষি সচিব মেসবাহুল ইসলাম, শিল্প সচিব জাকিয়া সুলতানা, বিসিআইসি চেয়ারম্যান, কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক, বাংলাদেশ ফার্টিলাইজার অ্যাসোসিয়েশনের নেতারা বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন।
বৈঠক শেষে সংবাদ সম্মেলনে কৃষিমন্ত্রী ড. মোঃ আব্দুর রাজ্জাক বলেন, গণমাধ্যমে খবর এসেছে অনেক এলাকায় কৃষকরা সার পাচ্ছেন না, প্রয়োজনীয় সারের ঘাটতি রয়েছে। সরকার বিষয়টি অত্যন্ত গুরুত্বের সাথে নিয়েছে। প্রধানমন্ত্রীও বিষয়টি জানেন এবং পরিস্থিতি পর্যালোচনার নির্দেশ দিয়েছেন। আমরা যা দেখেছি, এলাকাভিত্তিক পরিবহন সমস্যার কারণে কোনো কোনো এলাকায় সার ঠিকমতো পৌঁছায়নি। ডিলার ও দোকানদাররাও এ সুযোগ নিয়েছেন।
কৃষিমন্ত্রী বলেন, আমরা বৈঠকে সিদ্ধান্ত নিয়েছি আমাদের ইউনিয়ন ও উপজেলা পর্যায়ের কৃষি কর্মকর্তাদের সার্বক্ষণিক মনিটরিং করতে হবে। যেসব ডিলার ও বিক্রেতা বেশি দামে সার বিক্রি করবে তাদের চিহ্নিত করে অবিলম্বে শাস্তি দিতে হবে। আপাতত আমরা চিঠি দিয়ে ডিসি-এসপির সহায়তায় ৩০ দিনের ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করব। পরিস্থিতি পর্যালোচনা করে প্রয়োজনে পুরো বোরো মৌসুমে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করা হবে। বোরো মৌসুমে সার সবচেয়ে বেশি প্রয়োজন হয়। সে বিষয়টি বিবেচনায় নিয়ে সরকার সব ধরনের আগাম প্রস্তুতি নিয়েছে বলে জানান কৃষিমন্ত্রী।