‘বাংলাদেশের জনগণই নিজেদের ভবিষ্যৎ নিজেই নির্ধারণ করবে’

0

প্রতিবেশী বাংলাদেশের নির্বাচনী ইস্যুতে ভারত সবসময়ই আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে থাকে। আগামী ৭ জানুয়ারি দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। ভারত এই নির্বাচনকে বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ বিষয় বলে উল্লেখ করেছে। দেশটি আরও বলছে, বাংলাদেশের জনগণ নিজেদের ভবিষ্যৎ নিজেই নির্ধারণ করবে।

শুক্রবার (২৯ ডিসেম্বর) ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র অরিন্দম বাগচি এসব কথা বলেন।

পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র বলেছেন, “নির্বাচন বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ বিষয় এবং আমরা বিশ্বাস করি যে বাংলাদেশের জনগণ তাদের ভবিষ্যৎ নিজেই নির্ধারণ করবে।”

নয়াদিল্লিতে সাপ্তাহিক মিডিয়া ব্রিফিংয়ের সময় এক প্রশ্নের জবাবে বাগচি বলেন, বাংলাদেশের ঘনিষ্ঠ বন্ধু এবং অংশীদার হিসেবে ভারত বাংলাদেশে শান্তিপূর্ণ নির্বাচন দেখতে চায় এবং একটি স্থিতিশীল, শান্তিপূর্ণ ও প্রগতিশীল জাতির বাংলাদেশের স্বপ্নকে সমর্থন করবে।

বিএনপি মুখপাত্র রুহুল কবির রিজভীর সাম্প্রতিক অভিযোগের কথা উল্লেখ করে মুখপাত্র মন্তব্য করতে অস্বীকার করেছেন যে ভারত সরাসরি “বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন সরকারকে সমর্থন করছে এবং আসন্ন নির্বাচনকে প্রভাবিত করছে”। বলেন, তৃতীয় কোনো দেশের নীতি নিয়ে আমরা মন্তব্য করতে চাই না।

বাংলাদেশে মার্কিন রাষ্ট্রদূত পিটার ডি. হাসের সাম্প্রতিক ভারত সফর সম্পর্কে জানতে চাইলে বাগচি বলেন, তিনি মার্কিন রাষ্ট্রদূতের ভারত সফর সম্পর্কে মিডিয়া রিপোর্ট দেখেছেন।

তিনি বলেন, ‘এটা ব্যক্তিগত সফর হতে পারে। তবে এ বিষয়ে বিস্তারিত জানি না। তাই এই মুহূর্তে আমার কিছু বলার নেই।’

এর আগে গত নভেম্বরে বাংলাদেশের নির্বাচন নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের কাছে নিজেদের অবস্থান স্পষ্ট করে ভারত। ও যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র ও প্রতিরক্ষামন্ত্রীদের ‘টু-প্লাস-টু’ বৈঠকে বাংলাদেশ নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয়েছে।

এরপর ভারতের পররাষ্ট্রসচিব বিনয় কোয়াত্রা বলেন, বাংলাদেশকে একটি স্থিতিশীল, শান্তিপূর্ণ ও প্রগতিশীল রাষ্ট্র হিসেবে যে দেশের জনগণ দেখতে চায় ভারত সেই ‘রূপকল্প’কে ভারত দৃঢ়ভাবে সমর্থন করে। তিনি আরও বলেন, ‘বাংলাদেশের নির্বাচন সে দেশের অভ্যন্তরীণ বিষয় এবং সে দেশের জনগণই তাদের ভবিষ্যৎ নির্ধারণ করবে।’

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *