মিয়ানমার থেকে পেঁয়াজ আমদানি শুরু, টেকনাফ স্থলবন্দরে এলো ১২০ টন পেঁয়াজ

0

ভারতের পেঁয়াজ রপ্তানি নিষিদ্ধ ঘোষণায় দেশের পেঁয়াজের বাজার অস্থিতিশীল হয়ে পড়েছে। চাহিদার তুলনায় উৎপাদন, আমদানি ও সরবরাহ পর্যাপ্ত হলেও দীর্ঘদিন ধরে খুচরা বাজারে চড়া দামে পেঁয়াজ কিনতে হচ্ছে ক্রেতাদের। ক্রেতাদের চাহিদার কথা মাথায় রেখে মিয়ানমার থেকে পেঁয়াজ আনা হচ্ছে। টানা ৪২ দিন পর টেকনাফ স্থলবন্দর দিয়ে মিয়ানমার থেকে পেঁয়াজ ও শুকনা সুপারিবাহী ট্রলার এসেছে।

Description of image

মঙ্গলবার সকালে মিয়ানমারের আকিয়াব বন্দর থেকে ১২০ মেট্রিক টন পেঁয়াজ ও ৮০ মেট্রিক টন শুকনো সুপারি টেকনাফ স্থলবন্দরে এসেছে।

টেকনাফ স্থলবন্দরের ব্যবস্থাপনা প্রতিষ্ঠান ইউনাইটেড ল্যান্ড পোর্ট লিমিটেডের মহাব্যবস্থাপক (হিসাব) মো. জসিম উদ্দিন চৌধুরী এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, মিয়ানমারের সঙ্গে এই স্থলবন্দরের আমদানি-রপ্তানি ৪২ দিন বন্ধ ছিল। সকালে মেসার্স ফারুক ট্রেডার্সের মাধ্যমে টেকনাফ স্থলবন্দরে ১২০ মেট্রিক টন পেঁয়াজ ও ৮০ মেট্রিক টন শুকনো সুপারি আসে। এসব পেঁয়াজ ট্রলার থেকে খালাস করে দেশের বিভিন্ন স্থানে সরবরাহের ব্যবস্থা করা হচ্ছে।

মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে স্বাধীনতার পক্ষের সশস্ত্র গোষ্ঠী আরাকান আর্মি (এএ) দেশটির নিরাপত্তা বাহিনীর সঙ্গে লড়াই করছে। এ কারণে রাখাইনের জেলা শহর মংডু ও আকিয়াব বন্দর থেকে টেকনাফ স্থলবন্দরে পণ্য আসা বন্ধ হয়ে গেছে। বন্দরের আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রম ৪২ দিন বন্ধ ছিল।

মেসার্স ফারুক ট্রেডার্সের মালিক ওমর ফারুক বলেন, মিয়ানমারে ৬০০ মেট্রিক টন পেঁয়াজ পড়ে আছে। সে দেশের পরিস্থিতি স্বাভাবিক না হলে পণ্য আমদানি পুরোপুরি ব্যাহত হতে পারে।

ওমর ফারুক আরও বলেন, মিয়ানমার থেকে আনা পেঁয়াজের দাম কেজিপ্রতি ১১০ টাকার মতো। ট্রলার, শ্রমিক ও পরিবহন খরচ সহ আরো ১৫টাকা। এসব পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ১২৫ থেকে ১২৮ টাকায়। বিকেলের মধ্যে চট্টগ্রামের খাতুনগঞ্জ বাজারে পাঠানো হয়।

টেকনাফ স্থলবন্দরের কাস্টমস কর্মকর্তা এএসএম মোশাররফ হোসেন জানান, বন্দর দিয়ে আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রম বন্ধ থাকায় ৪২ দিনে প্রায় ১২৬ কোটি টাকার রাজস্ব ক্ষতি হয়েছে।

মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।