আজ রায়পুরা হানাদার মুক্ত দিবস
আজ ১০ ডিসেম্বর। নরসিংদীর রায়পুরা হানাদার স্বাধীনতা দিবস। ১৯৭১ সালের এই দিনে সেক্টর কমান্ডার বীর উত্তম ব্রিগেডিয়ার নুরুজ্জামানের নেতৃত্বে ৩ নম্বর সেক্টরের মুক্তিযোদ্ধারা হানাদার পাকিস্তানিদের হাত থেকে রায়পুরাকে মুক্ত করেন। বিভিন্ন অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে দিবসটি পালিত হয়।
৭ এপ্রিল রায়পুরায় সর্বদলীয় প্রশিক্ষণের আয়োজন করা হয়। ১৩ এপ্রিল বেলাবোর বড়বাড়ি এলাকায় পাকবাহিনীর সঙ্গে আট ঘণ্টাব্যাপী মুখোমুখি যুদ্ধ হয়। ১৪ এপ্রিল রায়পুরা থানায় হামলা হয়। এতে অংশ নেন রায়পুরা উপজেলা আওয়ামী লীগের বর্তমান সভাপতি আফজাল হোসেন, ছাত্রলীগের তৎকালীন সভাপতি প্রয়াত জালালউদ্দিন আহমেদ ও সেক্রেটারি হারুনুর রশীদ।
১৮ মে পাকবাহিনী খবর পেয়ে রায়পুরায় প্রবেশ করে। মুক্তিযুদ্ধের কর্মকাণ্ড দ্বিখণ্ডিত হয়ে পড়ে এবং সমস্ত চিন্তা স্থবির হয়ে পড়ে।
১৮ অক্টোবর ঢাকা-চট্টগ্রাম রেলওয়ের মির্জানগর ইউনিয়নের বাঙালিনগরে অবস্থিত ৫৫ নং রেলওয়ে সেতুতে দুই ঘণ্টাব্যাপী যুদ্ধ হয়। মুক্তিযোদ্ধাদের হাতে ছয় পাকসেনা নিহত হয়। এছাড়াও ৩৩ জন পাকসেনাকে আত্মসমর্পণ করতে বাধ্য করা হয়। এই হামলার নেতৃত্বে ছিলেন- লতিফ কমান্ডার, কমান্ডার জয়ধর আলী, কাজী হারুন, মরহুম ইদ্রিস হালদার প্রমুখ।
৭ নভেম্বর চট্টগ্রাম রাউজানের সুবেদার বাশার, সার্জেন্ট মো. বারী, খাকচাক গ্রামের নুরুল হক এয়ারফোর্স, রাজনগর গ্রামের বেঙ্গল রেজিমেন্টের সোহরাব।
এছাড়াও কাজী হারুন-উর-রশীদ, রাজনগর গ্রামের সুবেদার ইপিআর জায়দার আলী ভূঁইয়া ও ইদ্রিস হাওলাদারের ভূমিকা ছিল প্রশংসনীয়। অবশেষে ১০ ডিসেম্বর রায়পুরা মুক্ত হয়।
উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের সাবেক সভাপতি নজরুল ইসলাম জানান, এই দিনটিকে ঘিরে প্রতি বছরের মতো এবারও উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের পক্ষ থেকে নানা কর্মসূচি হাতে নেওয়া হয়েছে। এ দিন সকল শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের মাধ্যমে দিবসটি পালন করা হবে।