ডিজিএফআইয়ের কর্মকর্তা খুন।আরসা প্রধান আতাউল্লাহসহ ৪৯ জনের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা।
মাদকবিরোধী অভিযানে ডিজিএফআই কর্মকর্তাকে হত্যার ঘটনায় সশস্ত্র সন্ত্রাসী সংগঠন আরাকান রোহিঙ্গা স্যালভেশন আর্মি (আরসা) এর প্রধান আতাউল্লাহ আবু আম্মার জুনুনী এবং সংগঠনটির ৪৯ সদস্যের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেছে আদালত। সীমান্তবর্তী নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার তুমব্রু কোনারপাড়া রোহিঙ্গা ক্যাম্প।
সোমবার বান্দরবানের চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত এ হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় পুলিশের দায়ের করা তদন্ত প্রতিবেদন গ্রহণ করে এ আদেশ দেন।
দীর্ঘ তদন্ত শেষে ১৫ নভেম্বর আদালতে চূড়ান্ত প্রতিবেদন দাখিল করে পুলিশ।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ও ঘুমধুম তদন্ত কেন্দ্রের ইনচার্জ মাহফুজ ইমতিয়াজ ভূঁইয়া বলেন, ‘তদন্ত শেষে ৪৯ জনের বিরুদ্ধে চূড়ান্ত প্রতিবেদন দেওয়া হয়েছে।
এর আগে আলোনায় রোহিঙ্গা নেতা মুহিব্বুল্লাহ হত্যা মামলায় আরসা প্রধান আতাউল্লাহর নাম উঠে আসলেও পুলিশের চূড়ান্ত প্রতিবেদনে তার নাম ছিল না। আতাউল্লাহর নেতৃত্বে আলোচনা হলেও মুহিব্বুল্লাহ নিহত হন।
এই প্রথম আরসা প্রধান আতাউল্লাহকে চূড়ান্ত প্রতিবেদনে বিবাদী হিসেবে রাখা হলো একটি তুমুল বিতর্কিত মামলায়।
জানা গেছে, সীমান্তের জিরো লাইনে রোহিঙ্গা ক্যাম্পে ঘাঁটি তৈরি করে আরসা। সংগঠনটি সেখানে অস্ত্র তৈরির কারখানা এবং সুড়ঙ্গ তৈরি করে গোপন আস্তানা তৈরি করে। আতাউল্লাহ শূন্যরেখার এই আস্তানায় বসে সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড ও মাদক ব্যবসা পরিচালনা করতেন। গোল্ডেন আরাকান নামে একটি অত্যাধুনিক রেস্তোরাঁও সেখানে নির্মিত হয়েছিল।
১৪ নভেম্বর, ২০২২ তারিখে, এই আস্তানায় মাদক মজুদের তথ্য পেয়ে গোয়েন্দা সংস্থা ও র্যাব যৌথ অভিযান চালায়। অভিযানে একজন শীর্ষ গোয়েন্দা কর্মকর্তা নির্মমভাবে নিহত হন। আরসা প্রধান আতাউল্লাহ ও খালেদের নেতৃত্বে তাকে হত্যা করা হয়।
এদিকে আরএসও চলতি বছরের ১৫ জানুয়ারি আরসা ঘাঁটিতে হামলা চালায়। পুরো রোহিঙ্গা ক্যাম্প পুড়িয়ে দেওয়া হয়। একপর্যায়ে ঘাঁটি ছেড়ে পালিয়ে যায় আরসার সন্ত্রাসীরা।
জানা গেছে, একজন গোয়েন্দা কর্মকর্তাকে হত্যার ঘটনায় এ পর্যন্ত ১৩ জনকে গ্রেপ্তার করেছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। বাকিদের গ্রেপ্তারে অভিযান অব্যাহত রয়েছে বলে জানিয়েছে বিভিন্ন সংগঠন।