সমুদ্রের শহরে স্বপ্নের রেললাইনের উদ্বোধন ঘোষণা করলেন প্রধানমন্ত্রী

0

কক্সবাজার পর্যন্ত রেললাইন সংযোগ গর্বের বিষয় বলে মন্তব্য করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেন, বিশ্বের দীর্ঘতম সমুদ্র সৈকত কক্সবাজারে রেল যোগাযোগের মাধ্যমে রচিত হয়েছে নতুন ইতিহাস। কক্সবাজার জেলাবাসীর দীর্ঘ প্রতীক্ষার অবসান হয়েছে।

দোহাজারী-কক্সবাজার রেললাইন প্রকল্পের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন। কক্সবাজার এখন থেকে আরও গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠেছে, আইকনিক রেলস্টেশনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী বলেন, বড় ও ঝিনুকের মতো আকৃতির এই রেলস্টেশন।

শনিবার বেলা ১১টা ৩৫ মিনিটে অনুষ্ঠানস্থলে পৌঁছান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। দুপুর ১২টা ১৫ মিনিটে তিনি প্রধান অতিথির ভাষণ শুরু করেন।

সমাবেশে পৌঁছে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান উপভোগ করেন প্রধানমন্ত্রী সুধী। সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ শেষে শিশুদের সঙ্গে ছবি তোলেন। এরপর তিনি মঞ্চে বসেন। প্রধান অতিথির বক্তব্যের আগেই  প্রধানমন্ত্রীর হাতে একটি শুভেচ্ছা স্নারক তুলে দেন। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের সভাপতি রেলমন্ত্রী নুরুল ইসলাম সুজন।

প্রধানমন্ত্রী আরো বলেন, আগামী তিন বছরের মধ্যে রেলওয়েকে আন্তর্জাতিক মানের কাজ শুরু হচ্ছে। বাংলাদেশ এগিয়ে যাচ্ছে। করোনা মহামারীতে আমি বিনামূল্যে চিকিৎসা দিয়েছি। বিশ্বের বিভিন্ন দেশে যুদ্ধের কারণে কিছু দাম বেড়েছে। তাই প্রত্যেককে খালি জায়গায় সবজি তৈরি করার জন্য অনুরোধ করা হচ্ছে।

বিএনপি ও জামায়াতকে উদ্দেশ্য করে তিনি বলেন, চোখ থাকতে অন্ধরা উন্নয়ন দেখে না। তাদের পরামর্শ হলো ঢাকায় ১০ টাকায় চোখের চিকিৎসা করাতে হবে। যারা আগুন সন্ত্রাস করে। বাস পোড়ানো, মানুষ হত্যা করা। তাদের থেকে সাবধান।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, এটাকে নিজের সম্পদ হিসেবে ব্যবহার করতে হবে। একে পরিষ্কার রাখা সবার দায়িত্ব। চকরিয়া থেকে মাতারবাড়ি পর্যন্ত রেল যোগাযোগ থাকবে। বাংলাদেশের সার্বিক উন্নয়নে দেশবাসী সতর্ক থাকবে। দেশ এগিয়ে যাচ্ছে। এগিয়ে যাবে সবাইকে এটা নিয়ে বাঁচতে হবে।

দোহাজারী কক্সবাজার রেললাইন প্রকল্প উদ্বোধনের ঘোষণা দিয়ে বক্তব্য শেষে রেললাইনের সাথে জড়িতদের ধন্যবাদ জানান ।

শেখ হাসিনা বলেন, ট্রেনে কক্সবাজার যাওয়া যায়। এটা একটা স্বপ্ন কিন্তু বাস্তবে পরিণত হয়েছে। ঢাকা থেকে আসছে কক্সবাজার রেলওয়ে। পঞ্চগড় থেকে কক্সবাজারে আসার উদ্যোগ নেওয়া হবে। এই লাইনটি উত্তরাঞ্চলের সঙ্গে যুক্ত হবে।

কক্সবাজারে পর্যটনের জন্য আলাদা ব্যবস্থা এবং রেলওয়েতে ওয়াই-ফাই দেওয়ার কথা ঘোষণা করে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, বাইরে থেকে দু-একজন আমাদের পরামর্শ দেবেন, খবরদারির জন্য এটা করা হবে না।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ১৯৭৫ সালে জাতির পিতাকে স্বপরিবারে হত্যার পরপরই বাংলাদেশের অগ্রগতি থমকে যায়। কিন্তু মুক্তিযুদ্ধের ৩ বছর ৭ মাস পর এই বাংলাদেশ ঘুরে দাঁড়িয়েছে। বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে জাতিসংঘ যুদ্ধবিধ্বস্ত বাংলাদেশকে স্বল্পোন্নত দেশ হিসেবে স্বীকৃতি দিয়েছে। কিন্তু ১৫ আগস্টের পর ক্ষমতায় এসে বন্দুকের নল দিয়ে কলঙ্কিত ইতিহাস লেখা হয়েছে। দেশে এসে মুক্তিযুদ্ধের অর্জনকে একের পর এক মুছে দিয়ে যুদ্ধাপরাধীদের সম্মান জানানোর চেষ্টা চলছে। বাংলাদেশের মানুষের কল্যাণে দেশে ফিরছি। আমি এদেশের মানুষের জন্য সবকিছু করতে চাই। ক্ষমতার লোভে দেশের সম্পদ বিক্রি করতে রাজি নই। আমি বঙ্গবন্ধুর কন্যা।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *