পাল্টাপাল্টি হামলায় উত্তপ্ত লেবানন-ইসরায়েল সীমান্ত, আতঙ্কে বাড়িঘর ছাড়ছে মানুষ
অবরুদ্ধ গাজায় ইসরায়েলি দখলদার বাহিনী নির্বিচারে হামলা চালাচ্ছে। এমন পরিস্থিতিতে লেবানন সীমান্তে চরম উত্তেজনা বিরাজ করছে। লেবাননে উভয় পক্ষই সময়ের সাথে সাথে হামলার সুযোগ বাড়াচ্ছে। ইসরাইল প্রতিদিন লেবাননে বোমাবর্ষণ করছে। হিজবুল্লাহও পাল্টা জবাব দিচ্ছে। সর্বাত্মক যুদ্ধের আশঙ্কা বাড়ছে। একের পর এক ভয়ে ফাঁকা হয়ে যাচ্ছে দুই দেশের সীমান্তবর্তী এলাকাগুলো।
হিজবুল্লাহর বিরুদ্ধে লড়াই সত্ত্বেও, বেসামরিক সুবিধা এবং দক্ষিণ লেবাননের নাগরিকরা তেল আবিবের আক্রমণ থেকে রেহাই পায়নি।
উভয় পক্ষই এই সপ্তাহে তাদের আক্রমণ জোরদার করেছে। ইসরায়েল সীমান্ত এলাকায় সৈন্য সংখ্যা বাড়িয়েছে, ট্যাংক ও সাঁজোয়া যান নিয়ে ব্যাপক মহড়া চালিয়েছে।
এছাড়া দেশটি লেবাননের দক্ষিণাঞ্চলের বেশ কয়েকটি শহরে নিয়মিত বিরতিতে বোমা হামলা চালাচ্ছে। হিজবুল্লাহ জবাব দিচ্ছে। সংগঠনটি সময়ে সময়ে তেল আবিবে রকেট ও ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করে আসছে।
এদিকে উভয় পক্ষ যেভাবে হামলার পরিধি বাড়াচ্ছে তাতে স্থানীয়দের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ছে। ইসরায়েল সীমান্তে একের পর এক গ্রাম থেকে নিরাপদ আশ্রয়ে পালিয়ে আসছেন বাসিন্দারা। তেল আবিবও ঝুঁকিপূর্ণ এলাকা থেকে নাগরিকদের সরিয়ে নিচ্ছে।
বিশ্লেষকরা বলছেন, লেবাননের সীমান্তে সর্বাত্মক হামলা এড়াতে তেল আবিব যথাসাধ্য চেষ্টা করছে। গাজায় দেশটি যেহেতু বিশাল সামরিক শক্তি ব্যবহার করছে, সেহেতু হিজবুল্লাহর মতো শক্তিশালী গ্রুপের সঙ্গে মোকাবিলা করা তাদের জন্য সহজ হবে না। আর তাই তেল আবিব সতর্ক অবস্থায় রয়েছে। তারা হিজবুল্লাহকে যুদ্ধে যোগ না দেওয়ার জন্যও সতর্ক করেছে।
ইসরায়েলের প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইয়োভ গ্যালান্ট বলেছেন, হিজবুল্লাহর বিরুদ্ধে লড়াইয়ে আমাদের কোনো আগ্রহ নেই। ইয়াহিয়া আল-সিনওয়ার হামাসকে যুদ্ধে ঠেলে দিয়ে ভুল করেছিলেন, ফলে গাজা ধ্বংস হয়েছিল। নাসরাল্লাহ ভুল করলে লেবাননের জন্যও দুর্ভাগ্য ডেকে আনবেন। এতে ৭০ জনের বেশি হিজবুল্লাহ যোদ্ধা নিহত হয়। তাদের প্রতিটি হামলার জবাব দেওয়া হয়েছে।